নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : আড়াইহাজারে এক বখাটের প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় সপ্তম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে গণধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ও ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী জেলাধিন দস্তরদী এলাকার এক ইট বালু ব্যবসায়ীর শিশু কন্যা (১৩) প্রায় এক বছর যাবত উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ষাড়পাড়া এলাকায় তার নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করত। ১১ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি বিউটি পার্লারে তার এক বান্ধবীর সাথে সাজতে যায়। ২টার দিকে সেখান থেকে শিশুটি একা হেটে নানার বাড়ি ফেরার পথে সড়কে একটি প্রাইভেটকার যোগে ব্যর্থ প্রেমিক সুজন সহ ৪/৫ শিশুটিকে নাকেমুখে ক্যামিকেল মিশ্রিত কাপড় এর সাহায্যে অজ্ঞান করে মাইক্রোবাস যোগে অপহরন করে নিয়ে যায়। পরে তাকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় একটি ঘরে আটকে রেখে শিশুটির উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।
শিশুটির দেহে জলন্ত সিগারেটের আগুন দিয়ে পা সহ বেশ কয়েক স্থানে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। শিশুটিকে দুই দিন অভুক্ত রেখে সুজন সহ জন২ মিলে শিশুটিকে গণধর্ষণ করে। বুধবার রাতে সাড়ে এগারোটার দিকে অপহরণকারীরা শিশুটিকে উপজেলার আব্দুল্যাহপুর ব্রীজের নিকট ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। শিশুটি রাতে বাড়িতে ফিরে গিয়ে বাড়ির লোকজনদের ঘটনাটি জানালে বুধবার শিশটির মা ও নানা থানায় এসে অভিযোগ দেন। সুজন এর বাড়ি উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় বলে ধর্ষিতার পরিবার জানায়।
ধর্ষিতা শিশুটি জানান, প্রায়ই তার এক বন্ধবীর সহযোগিতায় সুজন প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। অপহৃত ও ধর্ষিত শিশুটি উপজেলার কলাগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী বলে পুলিশ জানায়।
আড়াইহাজার থানার সেকেন্ড অফিসার উপপরিদর্শক মজিবুর রহমান জানান, শিশুটি একেক সময় ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দেওয়ায় ঘটনাটি ব্যাপারে ধুম্রজালের সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে আড়াইহাজার থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, শিশুটির বক্তব্য যাচাই বাছাই করে করে মামলা নেওয়া হবে।