নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : মাদক ব্যবসায়ী হলেও তারাও মানুষ। তাদেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। এমনই মহানুভবতায় পানিতে নেমে প্রায় ২ ঘন্টা প্রাণপণ প্রচেষ্টার পর এক মাদক ব্যবসায়ীকে জীবন্ত উদ্ধার করেছে বন্দর থানা পুলিশ। সোমবার রাতে থানার অদূরবর্তী সোনাকান্দা পানির ট্যাংকির সামনে এ ঘটনার বর্হি:প্রকাশ ঘটে। আহত মাদক ব্যবসায়ীকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তির ৬ ঘন্টা পর তার জ্ঞান ফিরে।
এ ঘটনায় গোটা বন্দর জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। আসলেই পুলিশ যে মানবতাবাদী সোমবারের ওই ঘটনায় তা পরিস্কার হয়ে উঠেছে। বন্দর থানা সেকেন্ড অফিসার মোখলেছুর রহমান জিডির বরাত দিয়ে জানান, ১৫মে পৌণে ৯ টার সময় সোনাকান্দা পানির ট্যাংকির সামনে অবস্থানকালে জনৈক চান শরীফ মেম্বার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান যে, বন্দর থানাধীন পুরান বন্দর করবস্থান রোডস্থ বাচ্চু সরদারের এজমালী পুকুরে পশ্চিম পাশে ইট বিছানো রাস্তার উপর একজন মাদক বিক্রেতাকে জনগন আটক করে।
এস আই সংবাদ পেয়ে অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করে তার নির্দেশ মোতাবেক সংবাদের সত্যতা ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের লক্ষে ১৫ মে সোয়া ১০ টায় সংঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত আয়নাল হকের ছেলে নাইম. রমিজ উদ্দিনের ছেলে, নাসির ও লিটনের ছেলে চান শরীফ মেম্বার মেম্বারের উপস্থিতিতে পুরান বন্দর এলাকার আব্দুর রশিদ মিয়ার মাদক ব্যবসায়ী পুত্র জসিম উদ্দিন বাবুর্চী (৪০) একটি সাদা প্লাষ্টিকের জিপারের ভিতরে ৯৪ পিছ ইয়াবা রেখে বিক্রির সময় জনতা তাকে আটক করে ধস্তাধস্তি করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে জসিম তাদেরকে ধাক্কা মেরে পাশ্ববর্তী বাচ্চু সরকারের পুকুরে ঝাপ দিয়ে আতœগোপন করে।
এসআই আলমগীর উপস্থিত লোকজন ও সংঙ্গীয় ফোর্সসহ আসামীকে পুকুরের পানিতে ভাসমান কচুরী পানার নিচে খোঁজাখুঁজি করে এবং ১ ও ২ সাক্ষীদেরকে পুকুরে নামিয়ে কচুরি পানা সরানোর সময় ১১টা ১০ মিনিটে আসামীকে পুকুরের উত্তর পাশে কচুরী পানার নিচ হতে উদ্ধার করে আটক করে। আসামী দীর্ঘ সময় পুকুরের পানিতে আত্বগোপন করে থাকার পর শরীর নিস্তেজ হবার পর তাকে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৬মে সাড়ে ৩টায় আসামীকে সুস্থ ঘোষনা করলে তার স্ত্রী ও সাক্ষীদের মোকাবেলায় ৯৪ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রির জন্য নিজ হেফাজতে রেখেছিল।
আসামী তার স্ত্রীকে জানায় যে,পুলিশ তাকে যদি গ্রেফতার করে তাহলে সে আত্মহত্যা করবে। আসামী অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রির উদ্দেশ্যে তার নিজ হেফাজত ও দখলে রাখিয়া ১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন সংশোধনী/০৪ এর ৯১ (১) এর টেবিল ৯ (খ) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে। পুলিশের এহেন ভূমিকায় সর্বমহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাড়ায়। এলাকাবাসী পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছে।