নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই সেলিম রেজার শেল্টারে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। এমনকি স্থানীয় ভুমিদস্যুদের সাথে রয়েছে তার সখ্যতা। হরদম মাদক বিক্রেতাদের সুবিধা দেয়াসহ দাউদপুর ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা আদায় করছেন বলে রয়েছে অভিযোগ।
স্থানীয় লোকজন জানায়, এসআই সেলিম রেজা গত বছর রূপগঞ্জ থানায় যোগদান করার পর তাকে থানা প্রশাসন ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব দেন। পরে নানা অনিয়মের কারণে তাকে তার স্বপদ থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। তবু রহস্যজনক কারণে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত দারোগা হয়ে ওঠেছে আরো বেপরোয়া। রূপগঞ্জের উত্তরাঞ্চলের অর্ধশতাধিক ইটভাটা থেকে নিয়মিত মাসোহারা সহ স্থানীয় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা অসাধু পুলিশ অফিসার শেল্টারে চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের রমরমা ব্যবসা আর মাদকের শেল্টারদাতা অসাধু এই অফিসার হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। ফলে পুলিশের সহযোগীতা নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা বিনা বাঁধায় চালিয়ে যাচ্ছে তাদের রমরমা ব্যবসা।
সূত্র আরো জানায়, রূপগঞ্জ উত্তরাঞ্চলে শীতলক্ষ্যা নদীর পার জমি থেকে ইটভাটায় নিয়মিত মাটি চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। এসব মাটি চোর সিন্ডিকেট সংশ্লিষ্ট দারোগাকে ম্যানজ করেই তাদের অপকর্ম চালিয়ে আসছে। এছাড়াও রূপগঞ্জের বিভিন্ন মাদক স্পট থেকে আদায় করছে মোটা অংকের ঘুষ। ঘুষ দাতা মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছে চারিতালুক এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী নাজমূল, আরজু মিয়ার ছেলে চোলাই মদ বিক্রেতা কামাল মিয়া, মাদক স¤্রাট হিসেবে পরিচিত ভোলাব সরকার বাড়ি এলাকার রিপন মিয়া, আঃ মজিদ মিয়ার ছেলে খলিল মিয়া, ফজু মিয়াসহ কাঞ্চন মায়ার বাড়ি এলাকার আরমান, দাউদপুরের সাত্তার, শিমুলিয়ার মীর সাব্বির, কাকনসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী।
স্থানীয়দের অভিযোগ দেদারছে মাদক বিক্রি চালিয়ে আসলে দারোগা সেলিম রেজাকে জানালে রহস্যজনক কারনে তিনি দেখেও না দেখার ভান করছে । এদিকে নিরীহ লোকজনকে ধরে রাস্তায় আটকে রেখে পিটিয়ে মোটা অংকের ঘুষ আদায় করছে। চাহিদামত ঘুষ না দিলেই তার নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দারোগা সেলিম রেজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।