নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সৈয়দ সিফাত আল রহমান ) : সদ্য সমাপ্ত বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ২৭ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের মহিলা কাউন্সিলররা কে কত ভোট পেয়েছেন তাছাড়াও কোন কাউন্সিলর সবচেয়ে বেশী ভোট পেয়েছেন তা নিয়ে আমাদের নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ এর পাঠকদের জন্য নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বেসরকারী ফলাফলের একটি প্রতিবেদন।
সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ২২০ ভোট। গতবার নির্বাচনে তিনি পেয়েছিলেন ৮ হাজার ৯২৪ ভোট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হিসেবে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে কবির হোসাইন পেয়েছেন ৮ হাজার ২২৭ ভোট। তৃতীয় সর্বোচ্চ হিসেবে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীকে বর্তমান কাউন্সিলর ও নগর বিএনপি নেতা শওকত হাশেম শকু পেয়েছেন ৭ হাজার ৮০৭ ভোট। তিনি ৬ হাজার ২২০ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন।
বেসরকারী ফলাফলের তথ্য মতে, ১ নম্বর ওয়ার্ডে ফুলের ঝুড়ি প্রতীকের যুবলীগের হাজী মো. ওমর ফারুক ৪ হাজার ৮১৭ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব্ন্ধী বিএনপির সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৩ হাজার ৩২৮ ভোট।
২ নম্বর ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীকে আলোচিত ৭ খুন মামলায় অব্যাহতি প্রাপ্ত বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন ২ হাজার ৬৬৮ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ৭ খুনে নিহত প্যানেল মেয়র নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি পেয়েছেন ২ হাজার ৭২ ভোট।
৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল ৬ হাজার ৪০০ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।
৪ নম্বর ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীকে বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামীলীগের আরিফুল হক হাসান পেয়েছেন ৩ হাজার ৮০৯ ভোট।
৫ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাডমিন্টন প্রতীকে বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনের ছেলে জিএম সাদরিল ২ হাজার ৬৯১ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত নির্বাচিত হন।
৬ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীকের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি ৫ হাজার ৯৮৪ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বর্তমান কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৫ ভোট।
৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীকের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন আলা ৩ হাজার ৯৩ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।
৮ নম্বর ওয়ার্ডে মিষ্টি কুমড়া প্রতীকের আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন ৫ হাজার ৭২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মত কাউন্সিলর হয়েছেন।
৯ নম্বর ওয়ার্ডে মিষ্টি কুমড়া প্রতীকের বিএনপি নেতা ইসরাফিল প্রধান ৩ হাজার ৩৩৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের কাউন্সিলর হয়েছেন।
১০নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাডমিন্টন প্রতীকে প্রথমবারের মত আওয়ামী লীগ নেতা ইফতেখার আলম খোকন পেয়েছেন ২ হাজার ৭৪৩ ভোট।
১১ নম্বর ওয়ার্ডের ঘুড়ি প্রতীকে বিএনপি নেতা জমশের আলী ঝন্টু ৫ হাজার ৫৫৫ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মত কাউন্সিলর হলেন।
১২ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীকে বর্তমান কাউন্সিলর ও নগর বিএনপি নেতা শওকত হাশেম শকু ৭ হাজার ৮০৭ ভোট পেয়ে টানা তিনবারের কাউন্সিলর হয়েছেন।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ১০ হাজার ২২০ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মত কাউন্সিলর হলেন।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে আওয়ামী লীগ নেতা শফিউদ্দিন প্রধান পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির পেয়েছেন ৬ হাজার ৩১৬ ভোট।
১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীকে বাসদ নেতা কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস পেয়েছেন ৪ হাজার ২১৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আজাহার হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৭২৫ ভোট। এদের মধ্যে অসিত বরণ দ্বিতীয়বারের মত কাউন্সিলর হলেন।
১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাডমিন্টন প্রতীকে প্রথমবারের মত নগর সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নাজমুল আলম সজল ৪ হাজার ৮৩৪ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ওবায়েদউল্লাহ পেয়েছেন ৪ হাজার ৩২২ ভোট। ওবায়েদউল্লাহ এর আগে দুইবারের কাউন্সিলর ও দুইবারই প্যানেল মেয়র ছিলেন।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো: আব্দুল করিম বাবু ৭ হাজার ৬১৮ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর হয়েছেন।
১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে কবির হোসাইন ৮ হাজার ২২৭ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. কামরুল হাসান মুন্না পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৭৭ ভোট। মুন্না এর আগে দুইবার কাউন্সিলর ছিলেন।
১৯ নম্বর ওয়ার্ডে করাত প্রতীকে আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমান কাউন্সিলর ফয়সাল আহাম্মেদ সাগর পেয়েছেন ৩ হাজার ২৫২ ভোট।
২০ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান লাটিম প্রতীকে বিএনপি নেতা গোলাম নবী মুরাদ ২ হাজার ৭০২ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর হয়েছেন।
২১ নম্বর ওয়ার্ডে রেডিও প্রতীকে বর্তমান কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হান্নান সরকার পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৮ ভোট।
২২ নম্বর ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীকে কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা সুলতান আহম্মেদ ভূইয়া পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৩৩ ভোট।
২৩ নম্বর ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীকে আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল পেয়েছেন ৪ হাজার ২০৬ ভোট।
২৪নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীকে জাপা নেতা ও বর্তমান কাউন্সিলর আফজাল হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৪০৫ ভোট।
২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে বিএনপি নেতা ও বর্তমান কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ২২১ ভোট।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীকে বিএনপি নেতা মো. সামছুজ্জোহা ২ হাজার ৫১৫ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর হয়েছেন।
২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান বাবুল ২ হাজার ৮৪৪ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
এছাড়া সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে (১,২ ও ৩) গ্লাস প্রতীকে আওয়ামী লীগের মাকসুদা মোজাফফর ২২ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আসুরা বেগম পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৫৩ ভোট।
২ নম্বর ওয়ার্ডে (৪,৫ ও ৬) মোবাইল প্রতীকে আওয়ামী লীগের মনোয়ারা বেগম ১১ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ডলি আক্তার পেয়েছেন ৯ হাজার ২৫৯ ভোট।
৩ নম্বর ওয়ার্ডে (৭,৮ ও ৯) চশমা প্রতীকের মহিলা দলের আয়েশা আক্তার দিনা ১৪ হাজার ৪৪ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী রেহেনা পারভীন পেয়েছেন ১২ হাজার ৫৯ ভোট।
৪ নম্বর ওয়ার্ডে (১০,১১ও ১২) মোবাইল প্রতীকের মিনোয়ারা বেগম পেয়েছেন ২০ হাজার ৩৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী শিউলী ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১২ ভোট।
৫ নম্বর ওয়ার্ডে (১৩,১৪,১৫) বই প্রতীকের শারমিন হাবিব বিন্নি পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পপি রানী সরকার পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৯৩ ভোট।
৬ নম্বর ওয়ার্ডে (১৬, ১৭, ১৮) বই প্রতীকের নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানের স্ত্রী আফসানা আফরোজ ২১ হাজার ৬৮৭ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামী লীগের খোদেজা খানম নাসরীন পেয়েছেন ১৪ হাজার ২১০ ভোট।
৭ নম্বর ওয়ার্ডে (১৯,২০ ও ২১) বই প্রতীকের আওয়ামী লীগের শিউলী নওশাদ ৬ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বিএনপির রেজওয়ানা হক সুমি পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৩ ভোট।
৮ নম্বর ওয়ার্ডে (২২,২৩ ও ২৪) বই প্রতীকের আওয়ামী লীগের শাওন অংকন ১৮ হাজার ২০৯ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর হয়েছেন। তার নিকটকম প্রতিদ্বন্ধী মহিলা আওয়ামী লীগের ইসরাত জাহান খান স্মৃতি পেয়েছেন ৮ হাজার ৯০৫ ভোট।
৯ নম্বর ওয়ার্ডে (২৫, ২৬, ২৭) চশমা প্রতীকের হোসনে আরা ৬ হাজার ২৫৯ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী সানিয়া আক্তার পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৬৩ ভোট।