নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ইনফু ডেস্ক ): সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম উপকূল পেরিয়ে শক্তি হারিয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে শীতাকুণ্ড এলাকায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টি ঝরিয়ে আরও দুর্বল হয়ে যাবে লঘুচাপটি। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে আসবে।
আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান জানান, সোমবার পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে তারা আশা করছেন। তবে সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা বহাল রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও আশপাশে সোমবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। অন্যান্য এলাকায় বৃষ্টি ধীরে ধীরে কমবে এবং কাল থেকে রোদেলা আবহাওয়া পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। সোমবার পরিস্থিতির উন্নতি হলে সংকেত নামিয়ে ফেলা হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়, সোমবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানতঃ শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। সংকেত কমে গেলেও সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে ভারতের বিশাখাপত্তমের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে শনিবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোসহ দেশে বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় বৃষ্টি। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিলে তার নাম কী হবে, তা রীতি অনুযায়ী আগেই ঠিক করা হয়েছিল। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলের তালিকা অনুযায়ী নাম ঠিক হয়েছিল নাদা। কিন্তু নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় সে নাম আর ব্যবহার করতে হয়নি।
গত মাসের শেষ সপ্তাহে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিলে মিয়ানমারের প্রস্তাব অনুসারে নাম নাম দেওয়া হয় কায়ান্ট, যার অর্থ কুমির। কায়ান্ট দুর্বল হয়ে আবার সাগরেই নিম্নচাপে পরিণত হয়; সেটি উপকূল অতিক্রম করেনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি নভেম্বরে বঙ্গোপসাগরে দুই থেকে তিনটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে অন্তত দুটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।