নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ) : সাত খুনের মামলার প্রধান আসামী সন্ত্রাসী নুর হোসেনের ভাতিজা একাধিক মামলার আসামী অস্ত্রবাজ, চিহ্নিত পরিবহন চাঁদাবাজ সোহেল (৩৬) ও তার সহযোগী মাসুদ (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৪ ঠা নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ শিমড়াইল এলাকা থেকে এ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসী সোহেল টেকপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ সন্ত্রাসী সোহেলকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করেছে। এদিকে সন্ত্রাসী ও পরিবহর চাঁদাবাজ সোহেল গ্রেফতারের খবরে শিমরাইলে পরিবহন ব্যবসায়ীরা স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।
জানা গেছে, বিএনপির নেতা হাবীব হত্যাসহ একাধিক চাঁদাবাজি, মারামারী মামলার আসামী সোহেল সাত খুনের মামলার প্রধান আসামী নুর হোসেনর ক্ষমতার দাপটে ঢাকাÑচট্রগ্রামÑসিলেট মহাসড়কে শিমড়াইল মোড়ে চলাচল রত ৫ থেকে ৬ হাজার পরিবহন থেকে প্রতিদিন মোটা অংঙ্কের চাঁদা উত্তোলন করতো। ২০১৪ সালে সাত খুনের ঘটনা পর কিছু দিন চাঁদা তোলা বন্ধ হলেও ২০১৫ সালের জানুয়ারী থেকে সোহেল প্রতিদিন চলাচল রত পরিবহন থেকে মোটা অংঙ্কের টাকা উত্তোলন করে চলছে। এমন কি পরিবহন আটক করে মোটা অংঙ্কের টাকা আদায় করে মালিকদের কাছ থেকে। এনিয়ে একাধিক পরিবহন ব্যবসায়ী থানা পুলিশকে লিখিত ভাবে জানালে পুলিশ গিয়ে গাড়ি উদ্ধার করে দেয়। অবশেষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এস আই সুজন বিশ্বাস শুক্রবার দুপুরে শিমরাইল টেকপাড়া থেকে সন্ত্রাসী সোহেল ও তার সহযোগী মাসুদকে গ্রেফতার করে।
এ দিকে সোহেল গ্রেফতারের খবর পেয়ে শিমড়াইলে চলাচরত পরিবহন ব্যবসায়ীরা স্বস্তি ফিরে পেয়েছে। তারা বলেন, বিএনপি নেতা হাবিব হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী সোহেল মিথ্যা পাগলের র্সাটিফিকেট আদালতে দিয়ে জামিন আসে। তার পরিবার আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতের সাথে প্রতারনা করেছে। তাই হাবিব হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত সোহেল সাজা বহাল রাখতে আদালতের প্রতি পরিবহন ব্যবসায়ীরা অনুরোধ করছে।
এ ব্যাপারের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মুঃ সরাফত উল্লাহকে সোহেলের আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলে, আমি বাহিয়ে আছি বলতে পারবোনা। এদিকে সোহেলকে আটক করা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এস আই সোহেলের আটকের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, পরিবহনে চাঁদাবাজির অপরাধে তাকে আটক করা হয়েছে। রাত ৮টার পর ওসি স্যারের সাথে কথা বলে বিস্তারিত বলতে পারবো।