নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বন্দরের ধামগড় এলাকায় চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকাবাসী চোর ডাকাত ও মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য রাত জেগে পাহাড়ার ব্যবস্থা করেছে। স্থানীয় সমাজ সেবক এড. ইসহাকের সমন্নয়য়ে ৩০ জনের একটি কমিটি করে এলাকায় পাহাড়ার ব্যবস্থা করেন। রাতে পাহাড়া দেয়ার জন্য স্থায়ী ভাবে ৩ জনকে দৈনিক ৩শ’ টাকা মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়। কমিটির ২ জন করে প্রতিরাতে ৩ জননের সাথে মিলে ও ১ জন ইউপির চকিদার রাতে পাহাড়া দেবেন বলে জানা গেছে। ২৩ জানুয়ারী শনিবার দুপুরে এড. ইসহাকের নেতৃত্বে পাহাড়ারদার কমিটির লোকেরা বন্দর থানার ওসি নজরুল ইসলামের সাথে সাক্ষাত করেন এবং কমিটির কাগজ থানায় জমা দেন। এ সময় এলাকাবাসী ধামগড় মালামাত, চাঁনমার্কেট, মালামত মাদ্রসা ও ধামগড় মসজিদ মাদ্রাসা পর্যন্ত রাতে পুলিশী টহল জোরদারের দাবি জানালে ওসি পুলিশী টহল জোরদারের আশ্বাস দেন। ওসির আশ্বাসে গ্রামবাসী ওসিকে ধন্যবাদ জানান। প্রতিরাতে ১ বার করে হলেও পুলিশ এ এলাকায় টহল দেবে। এ ব্যপারে কমিটির সমন্নয়কারী এড. ইসহাক বলেন, সবচেয়ে বেশী মালামত এলাকায় চুরি ডাকাতি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া রাতে গার্মেন্টস থেকে মহিলা শ্রমিকরা আসার পথে ছিনতাইকারীরা মহিলাদের শ্লীতাহানীসহ টাকা পয়সা ছিনতাই করে থাকে। এ থেকে গ্রামবাসীকে রক্ষার জন্য ৩০জন মিলে একটি পাহাড়া কমিটি গঠন করা হয়েছে। গ্রামের প্রতিটি বাড়ি হতে মাসে ২শ’ টাকা করে সন্মানী তুলে স্থায়ী ভাবে নিয়োগদাতাদের মজুরী দেয়া হবে। এ পাহাদাড় কমিটি এলাকার চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদক বিক্রি বন্ধে কাজ করবে। এ জন্য পুলিশ ও গ্রামবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।