নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জ বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনায় ২৪ অক্টোবর সোমবার দিন ব্যাপী বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয়েছে। চিফ ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট শেখ হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি ১২ জনের গন শুনানী গ্রহণ করেন। স্কুল প্রাঙ্গনে মিনি আদালত বসিয়ে গণ শুনানী গ্রহণ করা হয়। গণ শুনানীর আগে এলাকার প্রায় সহশ্রাধীক জন গণ বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে।
গণ শুনানীর সময় স্কুল প্রাঙ্গণে প্রচুর পুলিশ মেতায়েন ছিল। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিতে ছিলেন চিফ ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট শেখ হাফিজুর রহমান, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট গোলাম নবী, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট মাজহারুল ইসলাম। তদন্ত কমিটি আহত ছাত্র রিফাত, রিফাতের মা রিনা বেগম, বাবা আনোয়ার হোসেন আনু, স্কুলের শিক্ষক মাহমুদুল হাসান, আঃ হাই, বোরহান উদ্দিন, মাসুম মিয়া, উত্তম কুমার গুহ, স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জেম মোশারফ হোসেন, আনোয়ার হোসেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ফারুকুল ইসলাম ও সদস্য মোবারক হোসেনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সকালে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত পুলিশের উপস্থিতিতে স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষক হুমায়ূনকে গালাগালি করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করে। গণ শুনানী শেষে এলাকাবাসী শিক্ষক শ্যামল কান্তির বিচার দাবি করে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। তদন্ত চলাকালে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত স্কুলে উপস্থিত ছিলেন এবং তাকে বিচলিত দেখা দেখে। শ্যামল কান্তি ভক্তের বিচারের দাবিতে এলাকায় পোস্টার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। এ বিষেয়ে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত কোন মুখ খুলেননি। গত ৮ মে ১০ শ্রেনীর ছাত্র রিফাতকে মারধর করে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে। এর প্রেক্ষিতে গত ১৩ মে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে এলাকাবাসী তাকে গণ পিটুনি দেয়। পরে জনরোষ থেকে রক্ষার জন্য শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের অনুরোধে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান তাকে কানধরে উঠবস করান।