নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকন ) : জন্মলগ্ন থেকে মুক্তির সংগ্রাম করছে আওয়ামীলীগ। মানুষের মুক্তির জন্যই এই সংগ্রাম। বাংলার অগনিত মানুষের ভালোবসাই শক্তি যোগিয়েছে আওয়ামীলীগকে।জুলুম অত্যাচার সহ্য করছে এই দল।একটা মানুষ যাতে না খেয়ে থাকে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।এ লক্ষেই ব্যাপক র্কাযক্রম বাস্তবায়ন চলছে।শনিবার ২২ই অক্টোবর সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে দলের সভা নেত্যী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এসময় বিভিন্ন উন্নয়নের সফলতা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনাও তিনি সকলের সামনে তুলে ধরেন। নারীর মানুন্নয়নের ক্ষেত্রে বলেন নির্বাচনে এখন নারীদের অংশগ্রহন নিশ্চিত। যুগ উপযোগী নারী নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উপমহাদেশের মধ্যে অন্যতম সংগঠন আওয়ামীলীগ। আ:লীগ সংবিধান রক্ষা করে। অর্থনীতিকে গতিশীল করা আমাদের লক্ষ। বাংলাদেশের ভূখন্ডে কোন ধরনের সন্ত্রাসীকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।সকল জনগনের নির্বাচনী প্রতিনিনধি ওর্য়াড থেকে শূরু করে সংসদ সদস্যদের কাছে আহ্বান থাকবে বাংলাদেশকে আমরা দারিদ্রমুক্ত করতে চাই। সকলে নিজ নিজ এলাকায় যাদের ঘর নাই বাড়ি নাই যারা হত দরিদ্র তাদের লিস্ট করেন। তাদেরকে আমরা সবকিছুর ব্যবস্থা করে দিব। ইনশাল্রাহ বাংলাদেশে দারিদ্র বলে কিছু থাকবেনা। দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ আ:লীগের প্রতীজ্ঞা।
শেখ হাসিনা বলেন, এই দেশকে মুক্তি করাটাই আমাদের দায়িত্ব। প্রত্যেক ঘরে ঘরে আলো থাকবে, শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুত পৌছে দেওয়া হবে। জাতির পিতা যে সোনার বাংলা দেখেছিলেন তা প্রতিষ্ঠত করব। আমরা চাই সকলের সাথে বন্ধুত্ব।
এসময় তিনি সকল ডেডিকেটেড, সম্মানিত অতিথি, জন প্রতিনিধি, সাংসদ সদস্য, মন্ত্রী পরিষদ ও সাংবাদিকবৃন্দকে আন্তরিক অভিন্নদন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন আপনাদের সহযোগীতাই এই সম্মেলন সফল হতে যাচ্ছে।
সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদনক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আবেগ্লাপুত হয়ে বলেন, আওয়ামীলীগের কোনও কর্মী যখন ব্যাথা পায় তখন তা নিজের হৃদয়ে লাগে। আমি দুবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। শেখ হাসিনার উপদেশে দলকে পরিচালনা করেছি। তখন দলে কোনও ভাঙন ধরেনি, কোনও দ্বিধা সৃষ্টি হয়নি।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, যেকোনও সময় থেকে আওয়ামী লীগ এখন শক্তিশালী। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমরা সেই রক্তের তাজুদ্দিন, মনসুর সাহেব থেকে শুরু করে অনেকেকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়নি। কেউ কোনও দিন পারবেও না। আওয়ামী লীগের মতো এত আত্মত্যাগ আর কোনও রাজনৈতিক দলের মধ্যে নেই। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে পৃথিবীর কোনও শক্তি নেই আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে পারে।
তিনি সকল নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে। তার নেতৃত্বেই এই বাংলাদেশ একদিন সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে।
রাশিয়ার ক্ষমতাসীন দলের নেতা সেলেক্সিয়া বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়ে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন। এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোয় তিনি কৃতজ্ঞ।
সেলেক্সিয়া আরো বলেন, বিশ্বে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিশ্বে রাশিয়া এবং বাংলাদেশের অবস্থান একই রকমের। বাংলাদেশ-রাশিয়ার সম্পর্ক সম্পর্ক সমতা ও পারস্পারিক শ্রদ্ধার। এজন্য তারা একে অপরের সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এরই মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক লেনদেন ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। এ বছরও দুই দেশের বাণিজ্যের লেনদেন ইতিবাচকভাবে বাড়ছে।
এরআগে সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। এরপর সকাল ১০টা ১২ মিনিটে বেলুন ও শান্তির পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এ সময়ে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।