নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ এমদাদুল হক লক্ষীর দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় রেখা আক্তার নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর দু-হাত বেঁধে জনসম্মুখে রাস্তায় উপর ফেলে সমস্ত শরীরে হাতুড়ী দিয়ে পিটিয়ে থেতলে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় স্ত্রীকে বাচাতে তার স্বামী ও ছেলে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসী লক্ষীসহ তার বাহিনীর সদস্যরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলা পবনকুল নাওড়াভিটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে । রেখা বেগম ময়মনসিংহ জেলার লংগাহর এলাকার সেলিম মিয়ার স্ত্রী।
আহত রেখা বেগম জানান, তারাব এলাকার ফিরোজ মিয়ার নাওড়া এলাকার একটি বাড়িতে তিনি ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। ওই এলাকার জালাল মিয়ার দুইটি গরু তিনি ভাগে লালন-পালন করেন। জালাল মিয়ার সঙ্গে কথা ছিল কুরবানীর ঈদেও সময় গরু দুটি বিক্রি করে যে টাকা পাবে তা তারা দুজনে সমান ভাগ করে নিবে। বিন্তু জালাল মিয়া কুরবাণী গরু বিক্রি করে তাকে আর কোন টাকা দেয়নি। পরে টাকা চাইতে গেলে জালাল মিয়া সেলিম মিয়াকে মারধর করে ফিরিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়দেরা বলার পর ২৫ হাজার টাকা কু-খ্যাত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ লক্ষীকে সামনে রেখে সেলিমকে দেয়। ওই দিন রাতেই লক্ষী সেলিমকে ২৫ হাজার টাকা তাকে দেয়ার জন্য ফোন করে। সেলিম টাকা দিতে অস্বীকার করলে মঙ্গলবার রাতে লক্ষীসহ তার বাহিনীর সদস্যরা সেলিমের বাড়িতে এসে টাকা নিয়ে বাহিরে আসতে বলে। ভয়ে সেলিম বাহিরে না এসে তার স্ত্রী রেখা বেগমকে বাহিরে পাঠায়। রেখা বেগম বাহিরে আসলে তাকে পিস্তল ঠেকিয়ে বলে ২৫ হাজার টাকা এনে দিতে বলে। টাকা না দিলে গুলিকরে মেরে ফেলবো বলে হুমকী দেয়। রেখা বেগম টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে রাস্তায় টেনে হিছরে নিয়ে যায়। পরে রেখা আক্তারকে দু’হাতসহ সমস্ত শরীর হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে থেতলে দেয়। তার ডাক-চিৎকার শুনে স্বামী সেলিম ও পুত্র আল-আমীন রেখা বেগমকে বাচাঁতে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে সন্ত্রাসীরা সেলিম মিয়ার ঘরে ঢুকে আলমারী থেকে ২৫ হাজার টাকা ২ টি মোবাইল ফোন ও একটি স্বর্নের চেইন নিয়ে চলে যায়। এসময় অনেক লোক দাড়িয়ে এ ঘটনা দেখলেও সন্ত্রাসী এমদাদুল হক লক্ষী বাহিনীর ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারেনি। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করান। কে এই লক্ষী পবনকুল এলাকার মৃত মোঃ কফিলউদ্দিন মিয়া ছেলে লক্ষী। ছোট বেলা থেকেই দুই চরিত্রের ছিল এই লক্ষী। ছোট থেকেই চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই,মাদক ব্যবসা করতো। এখন সে পবনকুল, নাওড়াভিটা, ক্ষিদিরপুর এলাকার গড়ে তুলেছে তার বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ,খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজীসহ নানা অপরাধের সঙ্গে সে জড়িত। প্রায়ই এলাকায় পিস্তল নিয়ে এলাকায় মহরা দিয়ে থাকেন। ভয়ে কেহ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস টুকু পায়না। তার বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁ থানায় এক ডজনের উপর মামলা রয়েছে। এ ব্যপারে এমদাদুল হক লক্ষীর সঙ্গে তার সেলফোনে বার বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, লক্ষীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।