সাংবাদিক মান্নানকে হত্যা চেষ্টা মামলায় পুলিশ ব্যর্থ হলেও ডিবি কর্তৃক হিমেল গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জ র্বাতা ২৪ : অবশেষে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার আন্দোলনের সক্রিয় সমাজকর্মী ও সাংবাদিক মান্নান ভূঁইয়াকে হত্যার চেষ্টা মামলায় জড়িত থাকার দায়ে হিমেল(৩৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের চৌকষ দারোগা মাজহারুল ইসলাম মাজহার।

১১ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেল তিনটায় জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন পাঠানটুলী নতুন আইলপাড়া এলাকার মানিকের চায়ের দোকান থেকে হিমেলকে আটক করা হয়। যা থেকে প্রমানিত হয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে আসামীদের সাথে সখ্যতা থাকার কারনে। জেলা গোয়েন্দা অফিসার মাজহারের কাছে তথা ডিবি’তে মামলটি হস্তান্তর হওয়ার মাত্র ২দিনের মধ্যে আসামী হিমেলকে গ্রেফতার করে একজন দায়িত্ববান পুলিশ অফিসারের কারিশমা দেখান। অর্থাৎ সমাজ থেকে অপরাধী নিশ্চিহ্ন করতে পুলিশের আন্তরিক ইচ্ছাই যথেষ্ট। হিমেলের গ্রেফতারের ঘটনায় ডিবি পুলিশকে উৎসাহিত করে এমনটাই মন্তব্য করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত আসামী হিমেল উল্লেখিত পাঠানটুলী এলাকার খোরশেদ ভান্ডারী’র ছেলে। সাংবাদিক মান্নান ভূঁইয়াকে হত্যার চেষ্টাকারীদের অন্যতম একজন ও স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত এবং এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী শহীদুল্লাহ্ ওরফে কালো মানিকসহ ভূমিদস্যু শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ সহচর।

সূত্রমতে, মান্নানকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনায় প্রথমে মোবাইল ফোনে শাহজাহান শহীদুল্লাহ্র আড্ডাস্থলে ডেকেছিল এই হিমেল। হিমেলের ফোনে হুমকি দিয়েছিল মান্নানকে হত্যা চেষ্টা মামলার ২নং আসামী শহীদুল্লাহ্ ওরফে কালো মানিক এবং এমদাদ হোসেন। যে ফোনালাপের ১০ মিনিটের মাথায় গত ১৮ আগষ্ট রাত ৮টা ৪০ মিনিটে উপরোল্লিখিত মাদক ব্যবসায়ী চক্রের অতর্কিত হামলা ও ছুরিকাঘাতের শিকার হন সাংবাদিক মান্নান ভূঁইয়া। এ সময় মান্নানকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৩ রাউন্ড গুলিও ছোড়ে ওরা। ফলে ছুরিকাঘাতের পাশাপাশি বামহাতে গুলিতে আঘাতপ্রাপ্ত হন তিনি। ঘটনার একদিন পর আহত মান্নান নিজে বাদী হয়ে ৮জনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। যার মামলা নং-৪৫,তারিখ: ১৯/০৮/২০১৬ইং। কিন্তু ঘটনার ২৪ দিন অতিবাহিত হলেও মামলার কোন অগ্রগতি দেখাতে বা কোন আসামীকে গ্রেফতার দেখাতে পারেনি তদন্তকারী কর্মকর্তা দারোগা ওমর ফারুক। এমনকি ধৃত এই আসামীসহ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামী শাহজাহান, শহীদুল্লাহ্ মাষ্টার দেলু, দেলোয়ার হোসেন দেলু, সাইদুল, জামানসহ জড়িতরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও রহস্যজনক কারনে তাদের গ্রেফতার করেননি আইও ওমর ফারুক। শুধু তাই নয় মামলার কয়েকজন আসামীকে জামীন পেতেও পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছেন বলে দারোগা ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে রয়েছে এলাকাবাসী’র অভিযোগ। তবে তারা ডিবি’র দারোগা মাজহারের প্রতি সন্তুষ্টি জ্ঞাপন করেন।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত