নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (সিদ্দিরগঞ্জ প্রতিনিধি) : ক্রাইম জোন গোদনাইলের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ভুমিদস্যু শাহজাহান, সাজাপ্রাপ্ত আসামী দেলোয়ার হোসেন দেলু ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল্লাহ ওরফে কালা মানিক ও সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতা ডিএইচ বাবুল আইলপাড়া পাঠানটুলী এলাকায় ঈদকে সামনে রেখে ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। প্রতিবাদ করলেই তাকে জীবন দিতে হবে অথবা সন্ত্রাসী দ্বারা গুম এবং পঙ্গু হতে হবে বলে এলাকাবাসী জানায়। অথচ পুলিশ প্রশাসন নিরব থাকায় এলাকায় দারুন ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, জেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় আইলপাড়া পাঠানটুলী এলাকাকে জেলা প্রশাসন সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত ঘোষনা করার লক্ষ্যে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছিল সম্প্রতি। কিন্তু মাদক ব্যবসায়ীরা এতোই বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই প্রকাশ্যেই নানা ধরনের অপরাধ করে যাচ্ছে। সিদ্ধিরগঞ্জ পুলিশের কয়েকজন দারোগার কললিষ্ট যাচাই করলেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এখানে সন্ত্রাসী ও আসামী পুলিশ ভাই ভাই, প্রতিবাদকারী ও বাদী পক্ষের রেহাই নাই। এই প্রবাদ বাক্যটি এখন এলাকায় মুখরিত। পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তি, বিভিন্ন গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান সহ ছোট খাটো শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে মানুষদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি করছে শাহজাহান, দেলু ও শহিদুল্লাহ। কেউ প্রতিবাদ করলে মাষ্টার দেলুর দ্বারা ঐসব ব্যক্তিদের খুন অথবা পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়। বর্তমানে এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশি হয়রানী করারও অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী আরও জানায় থানা পুলিশ ও কোর্ট তাদের পকেটে থাকে বলে বীরদর্পে সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীরা চাপাবাজি করে বেড়ায়। পাঠানটুলী মোড়ে অবস্থিত ভুমিদস্যু শাহজাহানের অফিস ও বাড়ি থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হয় এবং আইলপাড়া পাঠানটুলী প্রাইমারী স্কুলের মোড়ে বসে ফেনসিডিল মামলার আসামী শহিদুল্লাহর নেতৃত্বে বিভিন্ন সিন্ডিকেট ভাগ করে দেওয়া হয়। আর সাজাপ্রাপ্ত আসামী দেলোয়ার হোসেন দেলু ইয়াবা সরবরাহ করে পিচ্ছি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের রক্ষা করতে তাদের যে কোন বিপদাপদে ডিএইচ বাবুল বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়াদৌড়ি করে। কারণ এই ডিএইচ বাবুলকে এলাকা ছাড়া করেছিল শাহজাহান, শহিদুল্লাহ। তাদের পক্ষে কাজ করে এলাকায় ফিরতে চায় বাবুল। বাবুলের বিরুদ্ধে এলাকায় ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ মানুষকে যখন তখন গালিগালাজ করে এক বিভীষীকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। উক্ত গ্রুপের সন্ত্রাসী ও মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে হিমেল, জিতু, ইস্তি, স্বপন, জামান, সেন্টু, চঞ্চল, সুমন, রাজু, উজ্জল, রাসেল, নয়ন, পিলার মনির, ইমরান ও রহমত উল্লাহ সহ আরও কয়েকজন। এই ব্যাপারে এলাকাবাসী র্যাব ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।