নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ঢাকা ডেস্ক ) : রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশার (১৪) সন্দেহভাজন ঘাতক ওবায়দুল খানকে (২৯) নীলফামারী থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৩১ আগস্ট বুধবার সকালে নীলফামারী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় পুলিশ। তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানা গেছে। পুলিশের এডিশনাল এএসপি সার্কেল ফিরোজ আহমেদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকালে পুলিশের অভিযানে ডোমার উপজেলা থেকে ওবায়দুলকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে ঢাকা থেকে আসা ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারাও অংশ নেন।
এর আগে পুলিশ মঙ্গলবার রিশার সন্দেহভাজন ঘাতক ওবায়দুল খানকে অল্পের জন্য ধরতে পারেনি পুলিশ। তাকে না ধরতে পারলেও পুলিশ গত সোমবার দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মিরাটাঙ্গী গ্রাম থেকে তাঁর বোন মোছা. খাদিজা বেগম (৩৬) ও ভগ্নিপতি মো. খাদেমুল ইসলামকে (৪৬) আটক করে।
মঙ্গলবার বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু আককাছ আহম্মদ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকার রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোশারফ হোসেন বীরগঞ্জ থানা-পুলিশের সহযোগিতায় ওবায়দুল খানের মিরাটঙ্গী গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালান। তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের ধারণা, অল্পের জন্য ফসকে গেছেন ওবায়দুল। সোমবার দুপুর পর্যন্ত স্থানীয় বাজারে তাঁকে দেখা গেছে বলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানিয়েছিল। ওবায়দুলকে না পেলেও পাশের বাড়ি থেকে বোন ও ভগ্নিপতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রমনা থানার পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে ওসি জানান।
ওবায়দুলের পরিবারের সদস্যদের দাবি, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে ওবায়দুল বাড়িতে যান। নাশতা করেন। বিশ্রাম নিয়ে দুপুরে গোসলের পর বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে তাঁর আর কোনো খোঁজ নেই। ঢাকায় তিনি কী ঘটিয়ে এসেছেন, তা তাঁরা জানতেন না।
রাজধানীর কাকরাইলে গত বুধবার ছুরিকাঘাতে আহত হয় উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা। গত রবিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। রিশার মা বুধবারই ওবায়দুলকে আসামি করে রমনা থানায় একটি মামলা করেছেন।
ওবায়দুলের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গী গ্রামে। তাঁর বাবা মৃত আবদুস সামাদ।