নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ার জের ধরে ২ গ্রামবাসী মধ্যে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় মহিলাসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৩ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আলীনগর গ্রামবাসীর পক্ষে আহতরা হলো বাঘা আশ্রাফ (৪০) মুদি দোকানী রিপন (৪৫) লিটন (৩৮) মহাসিন (২৮) শরিফ (৩৬) আক্তার হোসেন (৩৫) ও মদনগঞ্জ সৈয়ালবাড়ী ঘাট এলাকার পক্ষে আহতরা হলো রুমান (৩৫) জিয়াসমিন (৪৫) মনির (৩৫) রাব্বি (২০)। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ২৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে বন্দর উপজেলার আলীনগর ও নাসিক ১৯নং ওয়ার্ডস্থ মদনগঞ্জ সৈয়ালবাড়ী ঘাট এলাকার মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় মদনগঞ্জ সৈয়াল বাড়ীর ঘাট এলাকার লোকজন অগ্নেঅস্ত্র ও দেশিয়ও অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আলীনগর এলাকায় হামলা চালিয়ে গুলি বর্ষন করে। এলাকা বাঁচাতে আলীনগর গ্রামবাসী এক জোট হয়ে হামলাকারিদের ধাওয়া করলে শুরু হয় উভয় পক্ষের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া। সংঘর্ষ চলাকালিন সময় মদনগঞ্জ সৈয়ালবাড়ীর ঘাট এলাকার হামলাকারিরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুনাইনগর এলাকার সৈয়দ আলী সরকারের কলোনীর ৩টি বসত ঘর ব্যাপক ভাংচুরসহ আলীনগর এলাকার ১টি চায়ের দোকান ও ১টি মুদি দোকানসহ কমপক্ষে ৩টি দোকান ব্যাপক ভাংচুর করে নগদ টাকা ও দোকানের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মদনগঞ্জ সৈয়াল বাড়ীর ঘাট এলাকার আদু মিয়ার সন্ত্রাসী ছেলে রুমান একই এলাকার শিপলু ও বাপ্পীসহ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী র্দীঘ দিন ধরে পুনাইনগরস্থ সৈয়দ আলী সরকারের কলোনীর ভিতরে বসে অবাধে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসচ্ছে। তাদের এ মাদক ব্যবসার কারনে আলীনগর এলাকার যুব সমাজ ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক ব্যবসা বাধা দেওয়ার জের ধরে গত ৯ জুলাই দুপুরে মাদক ব্যবসায়ী রুমান, শিপলু ও লেংরা বাপ্পীসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী ক্ষিপ্ত হয়ে দ্বীল মোহাম্মদ দিলা (৫০) ও তার ছেলে তপু (২৫)কে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ ব্যাপারে আহত দ্বীল মোহাম্মদ প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে। এ ঘটনায় উল্ল্যেখিত মাদক ব্যবসায়ীরা আবারও ক্ষিপ্ত হয়ে ২৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আলীনগর এলাকায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে । সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে নাসিক ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আহবান জানান। এ ব্যাপারে ফেরদৌসি বেগম বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের হলেও এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় উক্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে যে কোন সময় আবারও রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয় এলাকাবাসী।