নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই বলেছেন, অপরাধীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। হত্যাকারীরা যে দলের কিংবা যে গোত্রেরই হোকনা কেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। ৩০ জুন বৃহস্পতিবার বিকালে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবেদ হোসেনের বড় ভাই মুদী ব্যবসায়ী হাজী কুতুব উদ্দিনের বাসভবনে পরিদর্শণকালে উপস্থিত ব্যাক্তিবর্গের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। আবদুল হাই আরো বলেন, হত্যাকান্ডের নাম রাজনীতি নয়। যারা গ্রাম্য রাজনীতির নামে রক্তের হলি খেলায় মেতে ওঠে তারা রাজনীতিবিদ নামের কলংক। আমি বর্বরোচিত এ হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
পরিশেষে তিনি নিহতের পরিবারের সদস্যদের সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দেন। এ সময় আবেদ হোসেন ও তার অপরাপর ভাই সামসুদ্দিন আহাম্মদ ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৭১ চেতনা মঞ্চর নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মোঃ রাসেল, সোনাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শাহজাহান প্রমুখ।
বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেনের বড় ভাই কুতুব উদ্দিন আহাম্মদ সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় তার বাড়ির সামনে পায়চারি করার সময় সন্ত্রাসী শামীম তাকে দোকানের তালা খোলা রয়েছে বলে মোবাইল ফোনে জানায়। সরল বিশ্বাসে কুতুব উদ্দিন ৩তলা থেকে নেমে দোকানের সাটার অক্ষত দেখে ফেরার সময় পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা শামীম ও তার ৪/৫জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুতুব উদ্দিনের গলায় ও মুখমন্ডলে উপর্যুপরি আঘাত করলে সঙ্গে সঙ্গে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তার ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাকে গুরুতর অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কত্যব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর পরই এলাকাবাসী ঘাতক শামীমকে অস্ত্রসহ হাতে নাতে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হলে পুলিশ বুধবার দুপুরে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।