গলাচিপায় সিরাজ হত্যা মামলায় ফতুল্লা পুলিশের অবহেলা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা প্রতিনিধি ) : গলাচিপায় পরকিয়ার বলি গৃহকর্তা সিরাজ হত্যা কান্ডের ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হলেও এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে বাকি ৬ জন।  অপরদিকে ২৭ জুন সোমবার নিহত সিরাজের গ্রেফতারকৃত স্ত্রী রোমানাকে ফতুল্লা থানার পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে  আদালতে প্রেরন করলেও বিজ্ঞ আদালত তা নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

এতে করে  মামলার বাদী তাছলিমা আক্তার অভিযোগ করে প্রতিবেদককে জানান , প্রশাসনের কাছ  থেকে সৌহার্দ্যপূর্ন আচরণ এবং মামলার বিষয় তেমন কোন সহযোগিতা পাচ্ছেন না । সেইসাথে মামলা দায়ের করার পর পুলিশের তেমন কোন তৎপরতা চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ আসছে এলাকাবাসীর কাছ থেকেও। আর মামলায় দায়িতরত ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক দিলীপ কুমার বিশ্বাস জানান, আসামীদের কাউকে শনাক্ত করতে পারি নি। এছাড়া মামলার প্রধান আসামী রোমানা সঠিক ভাবে কোন তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করেন নি। ফলে আসামীদের চিহ্নিত করতে সমস্যা হচ্ছে।

এ নিয়ে আত্মহননকারীর বড় বোন তাছলিমা আক্তার ন্যায় বিচারের আসায় এবং ঘটনায় জড়িত আসামীদের আটকের জন্য থানায় বসে চোখের পানি ঝড়ালেও মামলার দায়িত্বরত কর্তাগণ তাতে কোন কর্ণপাত করছেন না বলে অভিযোগ উঠে আসছে। আমি আর আমার ছোট বোন তাকরিমা মনি সকাল থেকে থানায় বসে থাকার পরও মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক দিলীপ কুমার বিশ্বাস প্রায় ৩ ঘন্টার পর থানায় আসেন। এরপর তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ন আচরণ এবং মামলার বিষয় তেমন কোন সহযোগীতা করার মত মন-মানষিকতা দেখান নি। যে কোন বিষয় জানতে চাইলে ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দেন এবং ওসি সাহেবের সাথে কথা বলে মামলার বিষয় জানাবেন বলে চলে যেতে বলেন।

অপর দিকে এলাকাবাসী জানায়, গলাচিপায় স্ত্রীর পরকীয়ার কারন দেখিয়ে সিরাজের আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করার ৪দিন অতিবাহিত হলেও প্রধান আসামী ছাড়া বাকী সকল আসামী রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। অনেক আসামীরা এখনো এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরা ফেরা করছে। এ সকল আসামীদের অনেকেই বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। এর ফলে এলাকায় তাদের প্রভাবের কমতি নেই। এছাড়া আসামীদের ধরতে এখনো কোন পুলিশ সদস্যরা এলাকাতে আসেনি। যার ফলে তাদের দৌরত্ব্য অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে।

এবিষয় মামলার তদন্তে দায়িত্বরত ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক দিলীপ কুমার বিশ্বাস জানান, তদন্তের স্বার্থে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে মামলার প্রধান আসামী রোমানাকে কোর্টে প্রেরন করা হয়েছিলো। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত তা নামঞ্জুর করে দেন। এছাড়া মামলার প্রধান আসামী রোমানা সঠিক ভাবে কোন তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করেনি। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি অচিরেই আসামীরা আইনের আওতায় থাকবে।

এদিকে মামলার আইনজীবি কাউছার বলেন, রোববার সকালে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ফতুল্লা-খ অঞ্চলে আসামীর ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আদালত তা নামঞ্জুর করে দেন। এ দিকে আত্মহত্যার ঘটনার দিন থেকে আত্মগোপনে চলে যান মামলার ১, ২, ৪ নং আসামী সিরাজের দুই  শ্যালিকা উর্মি, সমা।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত