অসিতের বাড়িতে হামলা, তিনদিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বাসদ নেতা অসিত বরণ বিশ্বাসের বাড়িতে হামলার তিনদিন অতিবাহিত হলেও এ ঘটনায় এখনো মামলা রুজু করেনি পুলিশ৷ অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্ত সাবেক দুই কাউন্সিলর রিয়াদ হাসান ও শারমিন হাবিব বিন্নির প্রভাবের কারণে মামলা নিতে গড়িমসি করছে পুলিশ৷
গত রোববার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে শহরের সনাতন পাল লেনে তার বাড়িতে ঢোকেন একদল তরুণ-যুবক। তারা অসিত বরণের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। তাকে খোঁজাখুজি করেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে হামলাকারীদের সাথে সাবেক দুই কাউন্সিলরকেও দেখা গেছে।

অন্যদিকে অসিত বরণের বাড়িতে হামলা খবর পেয়ে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব আবুল কালাম ওইদিকে যাওয়ার সময় তকেও রাস্তায় মারধর করে হামলাকারীরা। আবুল কালাম বলেন, “আমারে দেইখাই ‘ওইযে ধর, অসিতের সচিব’, এই বইলাই মারধর শুরু করে। কী কারণে মারলো তাও আমি বুঝতে পারলাম না।”

এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অসিত বরণ বিশ্বাস। এরপর দুদিন অতিবাহিত হলেও এখনো মামলা রুজু করেনি পুলিশ।

অসিত বরণ বিশ্বাস জানান, গত ২৮ তারিখ অভিযোগ দেয়ার পর জানান হয় ঘটনা মধ্য রাতে ঘটায় তারিখে ভুল হয়েছে। সেটা সংশোধন করে পরদিন পুনরায় অভিযোগ দেয়ার পর দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা জানান মামলা রুজু করতে সময় লাগবে। মামলার কপি বুধবার সকালে সংগ্রহ করতে। পরদিন গেলে জানান হয়, এ বিষয়ে পুনরায় তদন্ত করা হচ্ছে।

মামলা না নেয়ার জন্য পুলিশকে চাপে রাখা হয়েছে অভিযোগ করে অসিত বরণ বিশ্বাস বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে রিয়াদ হাসান ও মুখে মাস্ক পড়া শারমিন হাবিব বিন্নিকে স্পষ্ট দেখা গেছে। একাধিক প্রতক্ষ্যদর্শীরা তাদের সনাক্তও করেছে। এত প্রমাণ থাকার পরও মামলাটি রুজু করতে গড়িমসি করছে পুলিশ। একজন সাবেক কাউন্সিলর হয়েও আমার ক্ষেত্রে এত হয়রানি করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষ না জানি কত হয়রানির শিকার হয়।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগপত্রে কিছু ভুল থাকায় তা সংশোধন করতে বলা হয়েছে। সংশোধিত অভিযোগেও কিছু অমিল লক্ষ্য করি। তাই আমরা বিষয়টা পুনরায় তদন্ত করছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ছবিসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করছি। তদন্ত শেষ করে মামলা রুজু করবো।

add-content

আরও খবর

পঠিত