নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব সংবাদদাতা ) : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নারায়ণগঞ্জ আসার খবরে আমাদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এত কঠিন শিডিউলের মধ্যেও উনি নারায়ণগঞ্জে আসছেন, এটা নারায়ণগঞ্জবাসীকেও নেত্রী সম্মানিত করেছেন, দলের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হবেন। বিগত সময়ে সারা নারায়ণগঞ্জের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রূপগঞ্জে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর স্ত্রী তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজীকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি কোন নির্বাচনী প্রচারণায় আসিনি। গাজী ভাই (গোলাম দস্তগীর গাজী) ও তাঁর স্ত্রী তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজীর সাথে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। আমি জানতে পারলাম, ভাবীর শরীরটা ভালো না, তিনি অসুস্থ, এ কারণে তাঁর সাথে কুশল বিনিময়ের জন্য আমি এসেছিলাম৷
মেয়র আরও বলেন, তাছাড়া, আমি আমার সিটি করপোরেশনের জন্য পূর্বাচল থেকে প্রায়ই গাছ কিনে নিয়ে যাই। গত চারদিন আগেও এখান থেকে প্রচুর গাছ ও ফুলের টব আমি কিনে নিয়েছিলাম। আজও আমি সেখানেই এসেছিলাম। যাবার পথে আমি ভাবীর সাথে কুশল বিনিময় করলাম৷ আর গাজী ভাইর সাথে তো দেখাই হলো না।
নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার ব্যাপারে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার অবস্থানের কারণে আমি নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে পারছি না। কিন্তু এটা যেহেতু আমার ভাইয়ের বাড়ি সে কারণে আমি আসতেই পারি।
কায়েতপাড়ায় নৌকার ক্যাম্প পোড়ানো বিষয়ে মেয়র বলেন, ক্যাম্প পোড়ানোর কালচার খুবই বাজে জিনিস, তাও আবার নৌকার ক্যাম্প। জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছেন, তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ আলাদা কিছু না।
আইভী বলেন, রূপগঞ্জে ব্যক্তিগতভাবেও গাজী ভাই অনেক উন্নয়ন করেছেন৷ পৌর মেয়র হিসেবে হাছিনা গাজীও অনেক কাজ করেছেন। যারা এভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে সেখানে নৌকার ক্যাম্প পোড়ানোর মতো দু:সাহস কার হলো, কেন করলো সেটা প্রশাসনের খতিয়ে দেখার দরকার আছে। এখানে পরিবেশ পরিস্থিতি কেন বা কারা উত্তপ্ত করতে চাচ্ছে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করার কথা প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন। যাকে ভোট দেওয়া হবে সেই নির্বাচিত হবে। এবং সেটা উৎসবমুখর পরিবেশ যেন থাকে।
তিনি বলেন, নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে কালকেই একজন আরেকজনের মুখ দেখবে। তাই সহিংসতা পরিহার করে উচিত। প্রশাসনকে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে বলবো, কে বা কারা নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুর ও আগুন দিলো তা দেখার জন্য।