নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের একটি কোল্ড স্টোরেজে ৬ লাখ পিস ডিমসহ বেশকিছু খেজুর মজুদ করে রাখার সন্ধান পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বুধবার (৬ ডিসেম্বর ) দুপুরে ফতুল্লায় অবস্থিত শাহিন এন্ড ব্রাদার্স নামের কোল্ড স্টোরেজে অভিযান পরিচালনা করলে এসব ডিমের মজুদ পান তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিচালক সেলিমুজ্জামান, ক্যাবের জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন রবিনসহ সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া একই এলাকায় আর্দশ কোল্ড স্টোরেজ ও দাপা এলাকার রহমতউল্লাহ কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালানো হয়। তবে সেখানে ডিমের মজুদ পাওয় যায়নি। এদিকে কমিশন পাওয়ার জন্যই মজুদ রেখে ডিম বিক্রি হয় এমন তথ্য জানান এক বিক্রেতা।
তিনি বলেন, চাহিদা বাড়লে ডিমের দাম বাড়ে। অনেকসময় বাজারে ১লাখ ডিম বাজারজাত করলে আরো ৫০ হাজার ডিমের চাহিদা হয়। তখন আমরা মজুদ করা ডিম বিক্রি করলে কমিশন পাই।
এসময় মজুদ রাখা ডিমগুলোকে দ্রুত বাজারজাত করার নির্দেশসহ কেউ বাজার অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ডিম কিংবা যেকোন পণ্য মজুদ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস বলেন, সরকার ডিমের আমদানির অনুমতি দেয়ার পর থেকে ডিমের দাম কমতে শুরু করে। এরই মধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কোল্ড স্টোরেজে ডিম মজুদ করা শুরু করে দিয়েছে এমন প্রমান পাওয়া যাচ্ছে। এদের উদ্দেশ্য হচ্ছে আবার ডিমের বাজারে অস্তিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা। তাদের এ অপচেষ্টা প্রতিরোধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিশেষ অভিযান চালিয়েছে যাচ্ছে। সারা দেশে কেউ ডিম মজুদ করার চেষ্টা করলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগ ব্যবস্থা নেবে। অসাধু ডিম ব্যবসাীয়দের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।