মামুনুল হকের রক্তের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে : সরকারী কৌঁসুলি রকিব

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্নার ধর্ষণ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ আরও দু্ইজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

সাক্ষ্য প্রদানকারীরা হলেন- মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার তৎকালীন পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম ও ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিয়িক অ্যাসিড) এনালিস্ট কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। এ নিয়ে এই মামলায় ৪০ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে পুলিশ প্রহরায় পুনরায় কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতের সরকারী কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ডিএনএ পরীক্ষক রবিউল ইসলাম তার সাক্ষ্যে আদালতে বলেছেন, তোয়ালে পুরুষের বীর্য পাওয়া গেছে। সেই বীর্যে মামুনুল হকের রক্তের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার সাক্ষ্যে বলেছেন, রয়েল রিসোর্টের ঘটনার পর রিসোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বাদী জান্নাত আরা ঝর্না জানিয়েছেন, মামুনুল হক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এখানে এনে ধর্ষণ করেছেন। এই নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মোট ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে ঝর্ণা বেগম নামের এক নারীর সাথে অবস্থানকালে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে আটক করে। পরে হেফাজতের নেতাকর্মীরা খবর পেয়ে রিসোর্ট ভাংচুর করে মামুনুল হককে মুক্ত করে নিয়ে যায়। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় ঝর্ণা বেগম বাদি হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত