নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নগরীর দেওভোগ পাক্কারোড এলাকায় একটি ৪তলা ভবন নির্মানাধীন। ভবনটির রাজউকের অনুমোদনে সমস্যা আছে জানিয়ে মালিকের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবী চাঁদা করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী রাসেল নামে এক ব্যাক্তি। এমন অভিযোগ করেছেন ২৫০ (পুরাতন) ৩৫৫ নতুন দেওভোগ পাক্কারোড নিবাসী ভূক্তভোগী আরিফুল হক ফাহিম।
তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, বর্তমানে আমার ৪তলা ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। ভবনটি নির্মানের পূর্বে আমি রাজউক কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের জন্য গেলে তারা আমাকে জানান, রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী এলাকার ভিতরে কোন ভবন নির্মান করতে হলে সেই ভবনের সামনে অবশ্যই ৬ ফুট রাস্তা থাকতে হবে। আমার ভবনের সামনে ৬ ফুট প্রশ্বস্ত রাস্তা না থাকায় রাজউক থেকে কর্মকর্তারা আমাকে স্থানীয় উপজেলা পরিষদ থেকে ভবন নির্মানের অনুমুতি নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে আমি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ থেকে ভবন নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল অনুমোদন সংগ্রহ করি। কিন্তু রাসেল নামে এক ব্যাক্তি আমার কাছে এসে আমাকে বলেন, ‘আপনার বাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। রাজউকের প্ল্যানকোড অনুযায়ী বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে না আপনার।’ আমি জানতে চাই, ‘আপনি রাজউকের পেপারস দেখার কে? তিনি নিজেকে রাজউকের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এক পর্যায়ে সে আমার নিকট ১০ লাখ টাকা টাকা দাবী করে। পরবর্তীতে আমি ভবন নির্মানে উপজেলা পরিষদের অনুমোদনপত্র দেখানোর পর সে চলে যায়। কিন্তু বর্তমানে সে আমার পাশের বাড়ির মালিককে দিয়ে হয়রানীর উদ্দেশ্যে ভবনের কাজ বন্ধ রাখার জন্য নানা অজুহাতে আমাকে হুমকি ধমকী প্রদান করাচ্ছে। খোজ নিয়ে জানতে পারি আমার পাশের বাড়ির মালিক ওই রাসেলের নিকটাত্মীয়।
এদিকে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর উত্তরা, মতিঝিল ও নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের অথরাইজ্ড কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে রাসেল নামে কোন কর্মকর্তার খোঁজ তারা দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে রাজউকের নারায়ণগঞ্জ জোনাল অফিসের অথরাইজ্ড অফিসার মোঃ ইলিয়াস এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এরকম কোনো অভিযোগ নিয়ে বাড়িতে কেউ আসতে পারে না। এরকম কিছু থাকলে শুধু রাজউকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিই যোগাযোগ করবেন। এই ধরনের প্রতারকচক্র থেকে নগরবাসীকে সতর্ক থাকতে বলেছেন এবং এরকম প্রতারকচক্রের সন্ধান পেলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন এই রাজউক কর্মকর্তা।