নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (নিজস্ব প্রতিবেদক) : শক্তিশালী বোমা হামলা ঘটনার মামলার বাদি অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেছেন, প্রতিবছরই বলি আগামী ১৬ জুনের মধ্যে শেষ হবে। আমার নিজের কাছেও খারাপ লাগে। আমিও আশা করে হতাশা হয়ে পড়েছি। এমন কোন জায়গা নাই। যেখানে আমি যাই নি। আমার একটাই লক্ষ্য দ্রুত এ বিচার কার্যক্রমটা শেষ হওয়া। ১৫জুন বৃহস্পতিবার অ্যাডভোকেট খোকন সাহার কার্য্যালয়ে এক বিশেষ সাক্ষাতকারে ১৬জুনে চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা মামলা বিষয়ে তিনি এসব কথা জানান।
সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, যেভাবেই হোক এ জঘন্য হত্যাকান্ডের বিচার হোক। আর যারা দেশের বাহিরে পলাতক রয়েছে। তাদের দেশে আনা হোক। ইতমধ্যে মুফতি হান্নানের ফাঁসির রায় হয়ে গেছে। এখন শুধু মোরসালিন ও মোত্তাকিমকে দেশের মাটিতে এনে বিচার কাজ করা হোক। আমি চাই দ্রুত এ মামলাটি নিষ্পত্তি হোক।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৬ জুন বোমা হামলার ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়াামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা বাদী হয়ে পৃথক দুইটি মামলা করেন। মামলায় স্থানীয় বিএনপির ২৭ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। পরবর্তীতে বিএনপির শাসনামলে ২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে মামলা দুইটির ফাইনাল রিপোর্টে বলা হয়, উল্লেখিত ২৭ জনের কেউই চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে ১৬ জুন ২০০১ সালের বোমা হামলায় জড়িত নয়। যদি ভবিষ্যতে অত্র মামলার তথ্য সম্বলিত ক্লু পাওয়া যায় তবে মামলাটি পুনরজ্জীবিত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
বিএনপির শাসনকালসহ দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর মামলাটি হিমাগারে থাকার পর মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সিআইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ২ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য সরকারকে আদেশ দেয়। চাষাঢ়া বোমা হামলা মামলাটি দীর্ঘ প্রায় নয় বছর পর ২০০৯ সালের মে মাসের ১৬ তারিখে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক মামলা নিস্পত্তি সংক্রান্ত জেলা মনিটরিং কমিটির সভায় চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।