ছবি জড়িয়ে কাঁদে মা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (নিজস্ব প্রতিবেদক) : বন্দরে মাত্র ৫শ টাকার জন্য খুন হয়েছিলো ডাইং শ্রমিক মিজান সিকদার মিশর (২৯)। সে হত্যকান্ডের ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও অন্তর থেকে বেদনার দাগ মুছতে পারেনি গর্ভধারিনী মা ফাতেমা বেগম। তাই এখনো ছেলের ছবি জড়িয়ে কান্না করাই তার শেষ সম্বল। শুধু এটুকুই চাওয়া, অন্তত বেঁচে থেকে যেন সন্তানের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেখে যেতে পারে।

আজ সোমবার (৩রা অক্টোবর) চাঞ্চল্যকর সে মিশর হত্যাকান্ডের রায় সুনানী হওয়ার কথা রয়েছে। দিনটি ঘিরে নিহতের পরিবারের মাঝে কাজ করছে ব্যপক আবেগ ও প্রত্যাশা। পরিবারের দাবি, দোষীদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। তা না হলে এই ধরণের অপরাধমূলক কাজ করতে উৎসাহী হবে সন্ত্রাসীরা। এ শাস্তি যেন এমনভাবে সকল অপরাধীদের বুক কাপে। আর যেন কখনো কারো মায়ের বুক খালি না করে। এভাবেই আবেগাপ্লুত হয়ে আকুতি করে কথা গুলো বলছিলেন নিহত মিশরের মা।

এরআগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আদালতে বিচারক মশিউর রহমান এ হত্যাকান্ডে মিঠু, মুন্না ও শয়ন কে জমিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যার প্রেক্ষিতে রবিবার সুনানী তারিখ ধার্য করা হয়েছে। বাদির আইনজীবী সোয়েব আহমেদ শুভ ও রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী নিয়োজিত আছের আহম্মেদ বুলবুল।

জানা গেছে, বন্দরের নবীগঞ্জ কাইতাখালী নোয়াদ্দা এলাকায় ওই হত্যাকান্ডটি ঘটেছিল। মিজান সিকদার মিশর একই এলাকার মৃত শফিউদ্দিন সিকদারের ছেলে। সেসময় এ হত্যার ঘটনায় বড় ভাই সাঈদ সিকদার সানী বাদি হয়ে বন্দর ধানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। পরে সকল বিচার বিশ্লষক শেষে উত্তপড়ার নবীগঞ্জ এলাকার দেলোয়ার হোসনের ছেলে মিঠু, নোয়াদ্দা এলাকার মঞ্জুর হকের ছেলে মুন্না এবং নোয়াদ্দা এলাকার বংগার ছেলে শয়ন জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের বিষয় পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়। বর্ননা দেন, কিভাবে কাঠ মিস্ত্রিদের বাটালী ও উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে কথা হলে নিহতের ভাই সানী জানান, তার ভাই মিশর গাজীপুরে একটি ডাইং কারখানায় কাজ করতেন। সানীর বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য তিনি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। রাতে মশার কয়েল আনতে দোকানে গেলে নোয়াদ্দা এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মিঠুসহ কয়েকজন তার ভাইকে উপর্যপুরি আঘাতে হত্যা করে। জানতে পেরেছিলাম মাত্র ৫শ টাকার লেনদেন নিয়ে খুন করে ফেলে সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয়রা জানায়, এ মিঠু গংয়ের বিরুদ্ধে আগেও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় ইভটিজিং, ছিনতাই ও মাদকসহ বিভিন্ন কাজে নেতৃত্ব দেয় সন্ত্রাসী মিঠু। সবশেষ জেল থেকে জামিনে এসেও এলাকায় বিশৃঙ্খলা করেছিল। তার জ্বালায় এলাকাবাসী অতিষ্ট। এসব সন্ত্রাসীদের কঠিন শাস্তি না হলে বের হয়ে আবারো কারো মায়ের বুক খালি করতে পারে।

add-content

আরও খবর

পঠিত