নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অকুতোভয় নেতা চন্দন শীল। ২০০১ সালের ১৬ জুন আওয়ামীলীগ অফিসে শক্তিশালী বোমা হামলায় যিনি হারিয়েছেন দুটি পা। জীবন যুদ্ধে হারলেও তিনি থেমে যাননি। আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের আস্থাভাজন হয়ে রয়েছেন সদা সক্রিয়। মিছিল-মিটিং, আন্দোলন-সংগ্রাম যেকোন শোক সভায় তিনি উপস্থিত থাকেন সামনের সাড়িতে। এবার দীর্ঘ সময় পার হলেও দল তাকে মূল্যায়ন করেছেন, এমনটাই বলছেন তৃণমূল।
আর তারই প্রেক্ষিতে এবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছন চন্দন শীল। যিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি সহ ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলের গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবেও প্রশংসনিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এরআগেও তিনি জেলা পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশিত ছিলেন। তবে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনায় দলের অন্য নেতাদের সুযোগ করে দিয়েছেন চন্দন শীল।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়ছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। এরআগে ৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডির কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করে ছিলেন চন্দনশীল। ৭ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেন।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদে নির্বাচনে তাঁর সাথে মনোনয়ন লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রসাশক এবং মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, শ্রমিক নেতা মতিন মাস্টারসহ মোট ৭ জন।
উল্লেখ্য, তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর।