হাজিগঞ্জ-পাঠানটুলিতে বেড়েছে অপরাধীদের দৌড়াত্ম্য

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : হাজিগঞ্জ-পাঠানটুলি এলাকায় বেড়েছে অপরাধ প্রবণতা। প্রতিনিয়তই ছিনতাই, মারামারি, মাদক কারবারিদের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকবাসী। গত দুই সপ্তাহে কয়েকটি মারামারিসহ ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

এছাড়াও ওইসব এলাকার চিহ্নিত ত্রাস মো. সোয়াদ হাজিগঞ্জ ঘাট এলাকায় ছিনতাই করতে গিয়ে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে আহত করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এম সার্কাস এলাকার মিঠু মিয়ার ছেলে সোয়াদের নামে হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড সংঘটিত হওয়ার ব্যপারে তার হাত রয়েছে বলে অনেকেই জানিয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার রাতেও বড় ভাই-ছোট ভাই ও মাদক কারবারিদের নিষেধ করায় দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়। পরে উভয় ভুক্তভোগী ফতুল্লা মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

পশ্চিম হাজীগঞ্জ ওয়াবদারপুর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে ভুক্তভোগী পারভেজের অভিযোগে জানা যায়, ছোট ছেলেদেরকে মাদক প্রচার কাজে লিপ্ত করে এখানকার কিছু উঠতি বয়সের যুবক। তাদেরকে নিষেধ করায় গত সোমবার পারভেজ, পাপ্পু সহ বেশ কয়েকজনের উপর হামলা চালায়। এতে বিবাদী করা হয়েছে ১। মোঃ রহিদ (২৬), পিতাঃ ওয়াহেদুর, ২। পাবেল (২৬), পিতাঃ অজ্ঞাত, ৩। রবিন (২৬), পিতাঃ আব্দুল ওহাব, ৪। জাকির (৩৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, ৫। মোঃ এলিন (২৫), পিতাঃ সাহিন ৬ আকাশ (২৬), পিতাঃ মহসিন, ৭। আনোয়র মিয়া (৫৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, ৮। মোঃ মুসা (৫৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, ৯। আমান (৩৫), পিতাঃ আব্দুল ওহাব, ১০। আল-আমিন (২৬), পিতাঃ অজ্ঞাত, ১১। নাইম (২২), পিতাঃ অজ্ঞাত।

আরো অভিযোগ করে বলেন, আদর্শ কলোনীর সংলগ্ন একটি মাঠে বিবাদীরা সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন জনগনের সম্মুখে মাদক সেবন করে থাকে। এই বিষয়ে তার ভাগীনা/ ভাই ১। মোঃ মাসুদ (৩২), পিতাঃ মোঃ সুক্কুর আলী ২। মোঃ সাকিব (২২), পিতাঃ আনার হোসেন মিয়া, ৩। পাপ্পু (২২), পিতাঃ সিরাজুল মিয়া, ৪। রাকিব (২৩), পিতাঃ অজ্ঞাত ৫। সোহান (২১), পিতাঃ সুজন এবং তাহাদের সাথে থাকা ভাই বন্ধু ৫/৬ জন গিয়ে উক্ত বিষয়ে প্রতিবাদ করিতে গেলে। উল্লেখিত ১ নং বিবাদী আমার ভাগীনার সাথে কথা কাটাকাটি করে। পরে বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়া আসে আমাদের ভাই/ভাগীনাদেরকে মারধর করে। বিবাদীরা মোঃ মাসুদ কে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয়।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এ অভিযোগে তদন্তপ্রাপ্ত কর্মমকর্তা মিজানুর রহমান জানায়, অভিযোগ পেয়েছি। তারা ওই এলাকারই বাসিন্দা। মারামারি করেছিল। আইন অনুযায়ী কাজ করছি।

add-content

আরও খবর

পঠিত