নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভূমিদৎসুদের সন্ত্রাসী হামলায় সখিনা খাতুন (৭০) নামে এক বৃদ্ধাকে বেদম ভাবে কুপিয়ে বাড়ি ঘর ও প্রইভেটকার ভাংচুর করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গত ২২ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যায় আহত বৃদ্ধা সখিনা খাতুনের ছেলে কাজী মজনু মিয়া বাদী হয়ে ভূমিদৎসু রাসেদ, সন্ত্রাসী হৃদয় ও মফিজলের নাম উল্লেখ্য করে ও ৪ থেকে ৫ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আলীসারদী এলাকার মৃত কাজী নুর ইসলাম মিয়ার ছেলে কাজী মজনু মিয়া তার ঘরের পাশে একটি গ্যারেজ নির্মাণ করে। গ্যারেজ নির্মাণ করার পর থেকে বন্দর উপজেলার চুনাভূরা এলাকার মৃত রবিউল ওরফে রবুল মিয়ার ছেলে রাসেদ ও একই উপজেলার আলীসারদী এলাকার হাকিম আলী মিয়ার ছেলে হৃদয় ও একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ হোসেন মিয়ার ছেলে মফিজল ক্ষিপ্ত হয়ে নিহি কাজি মজনুর সাথে খারাপ ব্যবহার করাসহ উল্লেখিত গ্যারেজ নিজেদের বলে দাবি করে। এ ঘটনায় নিরিহ কাজী মজনু মিয়া আইনের সহায়তা নিলে ওই সময় উল্লেখিত বিবাদীরা তাদের প্রয়োজনীয় কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ওই সূত্র ধরে গত ২২ জুলাই শুক্রবার বেলা দেড়টায় ভূমিদৎসু রাসেদ, সন্ত্রাসী হৃদয় ও মফিজুল ক্ষিপ্ত হয়ে বেআইনি ভাবে আমার বসত বাড়িতে অর্তকিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা আমার বাড়ি ঘর প্রইভেটকার ভাংচুর করে প্রায় দেড় লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে। ওই সময় হামলাকারি হৃদয় ও মফিজুল আমার ঘরে রক্ষতি নগদ ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে নিরিহ কাজী মজনুর ৭০ বছরের বৃদ্ধা মা সখিনা খতুনকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিরিহ কাজী মজনু বাদী হয়ে বন্দর থানার আরো একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা গণমাধ্যমকে জানান, মারামারি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।