নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বন্দরে অতিরিক্ত সিটি টোল বাড়ানোর প্রতিবাদ করার জের ধরে সিটি টোল ইজারাদারের সন্ত্রাসী বাহিনী হামলায় ২ লাইনম্যান ও ৫ অটো ইজিবাইক চালকসহ ৭ জন রক্তাক্ত জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলো : অটো ইজিবাইকের লাইনম্যান অলী (৩২) সাইফুল (২৮) অটো ইজিবাইক চালক খোরশেদ (২৮) জলিল (৫০) রাব্বি (১৮) গোলাম রাব্বি (২২) লিখন (২৬)। স্থানীয়রা আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
৭ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বন্দর থানার কামাল উদ্দিনের মোড় এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। টোল ইজারাদারের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ অটো ইজিবাইক চালকরা গাড়ী চলাচল বন্ধ করে দিলে ওই পথে চলাচলরত সাধারন যাত্রীরা চরম দূভোগের শিকার হয়।
তথ্য সূত্রে ও আহত অটো চালকরা গণমাধ্যমকে জানায়, ঈদের আর মাত্র ২ দিন বাকি। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নবীগঞ্জ মাইপরশ পাড়া এলাকার আকরাম মিয়ার ছেলে নবীগঞ্জ খেয়াঘাটের সিটি টোল ইজারাদার রানাসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী ওই পথ দিয়ে চলাচলরত বিভিন্ন ইজিবাইক থেকে ১৫ টাকা সিটি টোলের পরির্বতে গাড়ী প্রতি ৬০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছিল। ওই সময় অটো ইজিবাইক চালকগণ এর প্রতিবাদ করলে ওই সময় নবীগঞ্জ মাই পারশপাড়া এলাকার মৃত মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলে পাপ্পু, একই এলাকার সোহেল ও মোস্তাক, রাসেল ও সবুজসহ ৫/৭ জন পরিবহন চাঁদাবাজ ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উল্লেখিত চালক ও লাইনম্যানদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা ২ লাইনম্যান ও ৫ ইজিবাইক চালকসহ ৭ জনকে বেধম ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আহত লাইনম্যান অলী গণমাধ্যমকে আরো জানায়, চাঁদাবাজ রানা ও পাপ্পু অত্যাচারে অটো ইজিবাইক চালকগণরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। চাঁদাবাজদের কারণে আমরা বন্দর ১নং খেয়াঘাট থেকে নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে গাড়ী চালাতে পারছি না। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে তারা চাঁদা আদায়ের জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা গণমাধ্যমকে জানান, সিটি টোল ইজরাদারদের হামলায় অটো চালকরা আহতের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ দিকে চিহিৃত চাঁদাবাজ রানা ও পাপ্পু গং কবলে থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপার, র্যাব-১১ ও বন্দর থানার সুযোগ্য অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী অটো চালকরা।