নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে সিলেটে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে আজ ২১শে জুন মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে হেলিকপ্টারে করে সিলেটে রৌওনা দেন তিনি। এরপর সকাল ১০টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
পরে সেখান থেকে সিলেট সার্কিট হাউজে যান। সিলেট সার্কিট হাউজে প্রধানমন্ত্রী বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসন বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেয়। সিলেটের পাশাপশি সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনার বন্যা পরিস্থিতিও পর্যবেক্ষণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বন্যা পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি লো ফ্লাই মোড বজায় রেখে উড়তে থাকে। সভায় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।
মঙ্গলবার সিলেট সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসনের কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বন্যা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বন্যা মোকাবিলায় সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সরকার প্রধান আরও বলেন, সিলেট অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের যত খাদ্য ও ওষুধ লাগে সব দেওয়া হবে। বন্যায় মাছচাষিরা যাতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সেজন্য ব্যবস্থা নেবে সরকার। বন্যায় যারা কাজ করছেন তাদেরও সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। বন্যার পানিতে যাতে ঠান্ডা লেগে কেউ অসুস্থ না হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ও বিরোধী দল সব অবস্থাতেই সবার আগে দুর্গত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যায়। আমি বন্যাপ্রবণ এলাকার মানুষ। বন্যায় আমাদের বসবাস। আমি বন্যাকবলিত মানুষের কষ্ট বুঝি।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুটি হেলিকপ্টারে তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন তথ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিবেশমন্ত্রী, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, আহমদ হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, এসএসএফের মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব, একান্ত সচিব ১, ব্যক্তিগত চিকিৎসক, পিজিআরের কমাণ্ডার, এডিসি, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার ১, এসএসএফের ৪ জন, বিটিভির ক্যামেরাম্যান এবং মিডিয়া সদস্য ৪ জন।
এরআগে ১৮ জুন শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার ১৫ থেকে ১৮ জুন বন্যাকবলিত জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে নগদ ২ কোটি ২ দশমিক ২৫ লাখ টাকা, ৪০০ মেট্রিক টন চাল এবং ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনা ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ করেছে।