নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দুই দফা সন্ত্রাসী হামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর সাত্তার ও নব গঠিত বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হাইসহ কমপক্ষে ৬ জন রক্তাক্ত জখম হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ১৪ই মে শনিবার সকালে আহত আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হাই বাদী হয়ে সন্ত্রাসী ও মাদক সেবী পারভেজ ও ব্লেড জনী ও সুমন প্রধানসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২০(৫)২২ তাং- ১৪-৫-২২ইং
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা দক্ষিনপাড়া এলাকারমৃত আব্দুল করিম বেপারী ছেলে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হাই এর সাথে ফরাজিকান্দা উত্তরপাড়া এলাকার মৃত রাইসুল হকের সন্ত্রাসী ছেলে পারভেজ ও তার ছোট দুই ভাই তানভির ও সাব্বির এর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে পূর্ব শত্রæতা চলছিল। গত ১২ই মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাদীর ভাতিজা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. সাহাদাত হোসেনের স্ত্রী স্বপ্না বেগম তার অসুস্থ ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় বিবাদী সন্ত্রাসী পারভেজ ও তার বখাটে ছোট ভাই তানভির বাদী ভাতিজা স্ত্রীকে রাস্তায় দেখে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। পরে বিষয়টি ভাতিজার স্ত্রী তার স্বামী উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা সাহাদাত হোসেনকে জানায়। পরে সাহাদাত হোসেন এ ঘটনার প্রতিবাদ করে। এতে উল্লেখিত দুই ভাইসহ একই এলাকার নাসির প্রধানের ছেলে সুমন প্রধান, মৃত আহসান উল্ল্যাহ মিয়ার ছেলে রানা, মুজাহিদ মিয়ার ছেলে রাজিব ও আওলাদ হোসেন মিয়ার ছেলে নাহিদ দেশী অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠী সোটা নিয়ে বাদীর বড় ভাই প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল আজিজ এর উপর অর্তকিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিদের কাছ থেকে বাদী বড় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে বাদী আব্দুল হাই ও সামিউল আরাফাতকে বেদম ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা ও মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ছাড়াও গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী পারভেজের নেতৃত্বে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরাসহ একই এলাকার মৃত আছান উল্যাহ মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান আতাব উদ্দিন মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন ও একই এলাকার চিহিৃত মাদক সম্রাট ব্লেড জনীসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১৫ সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল আজিজ ও তার ছাট ভাই আব্দুল হাইয়ের বাস ভবনে হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা ব্যাপক ভাচুর ও লুটপাট করে প্রায় ২ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সাত্তার, রতœা বেগম ও আবিদ রক্তাক্ত জখম হয়। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।