শামীম হত্যার বিচারের দাবীতে নগরীতে মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মো. শামীম (৩০) নামে এক গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন নিহত শামীমের পবিরার ইসদাইরবাসী। ১১ই এপ্রিল সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে নিহত শামীমের মা বলেন, আমার ছেলে মাদক বিক্রি করতো না কিছু সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে লিখছে আসামীদের টাকা খেয়ে, আমি তাদের বলতে চাই যদি তাদের কারো সাথে এমনটা হতো তাহলে তারা কি করতো ? আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই, আসামীদের যাতে আইনের মাধমে কঠিন বিচার হয়। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই, আমি এমপি শামীম ওসমানের কাছে আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

নিহতের স্ত্রী শর্মী বেগম বলেন, তাঁর স্বামী এলপি গ্যাসের ব্যবসা করেন। গত ৬ই এপ্রিল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মুঠোফোনে এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, তাঁর স্বামী শামীমকে রাজ্জাকের ভাঙারির দোকানে আটকে রেখে কয়েকজন মিলে কুপিয়ে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন স্বামীর রক্তাক্ত লাশ মাটিতে পড়ে আছে। আমার স্বামীকে হত্যা করেছে, ডাকাত রাজ্জাক, কিলার জামান, জসিম, ওয়াসিম, ডাকাত পাঠা আলী, জাকির, ইয়াদ আলী, ডাকাত আলম, কিলাম রায়হান, ফরিদ, শান্ত, আল আমিনরা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি আইনের কাছে বিচার চাই, যাতে ওরা কঠিন সাজা পায়। আমার দুইটা ছোট ছেলে মেয়ে আছে ওদের এতিম করে দিসি, এই বাচ্চাদের কি হবে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। সময় উপস্থিত ছিলেন শামীমের পরিবার তার শশুর বাড়ির লোকজন এবং ইসদাইর এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, এরআগে ৬ই এপ্রিল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শামীমকে ডেকে এনে প্রকাশ্য দিবালোকে ফতুল্লা থানাথীন ইসদাইর রেললাইন সংলগ্ন রাজ্জাকের ভাঙ্গারীর দোকানের সামনে কুপিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নৃসংশভাবে হত্যা করে প্রতিপক্ষ মাদক ব্যবসায়ী। নিহত শামীম মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার পাড়াগাও গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে। সে স্ত্রী সন্তান নিয়ে শ্বশুড় বাড়ী ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার শহীদ হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকে। এবং গ্যাস সিলেন্ডারের ব্যবসা করেন। নিহত শামীম যদিও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওই ঘটনায় নিহত শামীমের স্ত্রী শর্মী বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০ থেকে ১২ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামীরা হলো : রাজ্জাক বাহিনী প্রধান রাজ্জাক (৪২), আলী ওরফে ডাকাত আলী (৪৫), রাজ্জাকের দুই  পুত্র জসিম (২২), অসিম (১৯), ফরিদ (৪০), আলম (৩০), রায়হান (৩২), জাকির (৩৫), জামান (৪০), আল আমিন (২৮), শান্ত (২০) সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে। এই মামলায় আটক আলী ওরফে ডাকাত আলী অসিমকে গ্রেফতার দেখানো হয়

এদিকে, শামীম হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত এক আসামী আলী ওরফে ডাকাত আলী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। গত ৭ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান মোল্লার আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান।

add-content

আরও খবর

পঠিত