নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিবেদক ) : ফতুল্লা থানাধীণ মাসদাইর বাজার পেরিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন গার্মেন্ট কর্মী ইকরাম। তিনি রাত ১১টায় বিসিক শিল্প এলাকার একটি পোশাক কারখানা থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। বোয়লিয়া খালের সড়কে পৌছালে তিনি ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। ঠিক তখনই ৩/৪ জন চাকু ঠেকিয়ে তার সাথে থাকা একটি স্যামসাং মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারীদের মধ্যে একজন মানিব্যাগ চেক করলে দেখতে পায় ১০ টাকা রয়েছে। এতে চটে যায় ওই দলের একজন, তারপর এলোপাথারী কিল-ঘুষি আর চর মেরে ফেলে যায় তাকে। আর যাবার সময় বলে যায়, সাথে টাকা নাই কে ? গতকাল রাতে হাউমাউ করে কেঁদে কেঁদে এমন ঘটনার কথা জানাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী।
এমন ইকরামের মত হরহমেশায় ছিনতাইকারীদের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে নগরবাসী। বেশকয়দিন ধরেই শহরের বিভিন্ন স্থানের সড়ক ও অলি-গলি সহ বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাই এর ঘটনা ঘটছে। ছিনতাইকারীরা অন্ধকার ও সুনশান নিরবতা স্থানে যাকে পাচ্ছে তাকেই দা, ছুরি অথবা নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছিনতাই করছে। এ নিয়ে অনিরাপত্তাহীণতায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে কর্মস্থল থেকে রাতে ফিরে আসা শ্রমজীবীরা বেশী আতংকিত।
এদিকে, সড়কে আইন শৃঙ্খলার নিরাপত্তা থাকলেও একটু আড়াল হলেই ঘটছে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। এছাড়া বিভিন্ন সময় দেখা গেছে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীদের সাথে কৌশলে পার পেয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ সময় নেশাগ্রস্থ হওয়ায় তাদের অনেককে আটক করলেও ছেড়ে দেয়। এর ফলে সমাজে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভয় না থাকার কারণে বাড়ছে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা।
অন্যদিকে শহরের অলি-গলিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন একটা নিরাপত্তা টহল না থাকায় ছিনতাইকারী চক্ররা সেসবস্থানে উৎ পেতে থাকে। তাই প্রতিনিয়ত চুরি ও ছিনতাই উপদ্রব হ্রাস করতে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো তৎপর হওয়া দরকার বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।