নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দাউদর্পু ইউনিয়নের হাজারো কৃষকের স্বপ্ন চাপা পড়ছে মেরিন সিটি আবাসন কোম্পানীর বালির নিচে। অবৈধ আবাসন কোম্পানীর বালির চাপায় প্রতিনিয়ত নিংস হচ্ছে গরিব অসহায় মানুষের শেষ সম্ভলটুকু। দাউদপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি মৌজায় রাতের আধাঁরে বালু ফেলছে আবাসন কোম্পানিটি। কোম্পানীর নিয়োজিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদও পর্যন্ত করতে সাহস পাচ্ছে না। প্রতিবাদ করলেই হামলা মামলার শিকার হতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজউকের জমি অধিগ্রহণের ফলে পৈত্রিক ভিটেমাটি হারিয়ে দাউদপুর ইউনিয়নের টেকদাসেরদিয়া গ্রামে কয়েক শতক জমি কিনে বসবাস করে ওমর আলী ও ইদ্রিস আলীর পরিবার।
এখানেও মেরিন সিটির ভূমি দখলদারদের রোষানলে পড়ে হারাতে বসছেন শেষ ঠিকানাটুকুও। তাদের অভিযোগ, মেরিন সিটির লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা এই পরিবারকে উচ্ছেদের নানা ষড়যন্ত্র আঁকছে তারা। একই গ্রামের বাসিন্দা লোকমান হোসেনের ১০ বিঘা ফসলী জমি রাতের আধাঁরে বালি ফেলে দখলে নিয়েছে মিরিন সিটি। আবাসন কোম্পানিটি জমি না কিনেই এসব অবৈধ কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে ।
মেরিন সিটির স্থানীয় দালাল মো. রফিকের রয়েছে পেটোয়া বাহিনী। সে বিভিন্ন ভাবে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের সহায় সম্ভল। এই পেটোয়া বাহিনীর কাজ হচ্ছে কৃষকের জমি দখলে ফাঁদ পেতে রাখা। তাদের কথায় রাজি না হলে রাতের আধাঁরে জমির মালিকদের ভয়ভীতি দেখানো হয় এমনকি হত্যার হুমকিও পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে। কাজীরবাগ শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে অর্ধশতাধিক ড্রেজারের মেশিন বসানো হয়েছে। রাতের আধাঁরেই বেশির ভাগ বালি ফেলে ভরাট করে আবাদি ও ভিটেমাটিই দখল করে ক্ষান্ত নন আবাসন প্রতিষ্ঠানটি। শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অবৈধ পন্থায় বালি উত্তোলন এবং উচ্চ আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বালি ভরাটের কার্যক্রম চালাচ্ছে আবাসন কোম্পানিটি।
এ বিষয়ে কথা হয় মেরিন সিটি আবাসন কোম্পানীর পরিচালক মো. জহিরের সাথে তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা জমি কিনেই বালি ভরাট করি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরাত জাহান জানান, আমরা বিভিন্ন সময় অভিযান করে বালু ফেলা বন্ধ করে দিয়েছি। কৃষকের জমি না কিনে বালু ফেলা অন্যায়। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।