নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যৌতুক ও পারিবারিক কলহের জের স্বামীর মারধরে মমতাজ বেগম (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামী আতাউর রহমানকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। ২১শে ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক আতাউর রংপুর জেলার কোতোয়ালি থানার শেখপাড়া গ্রামের সাধু মিয়ার ছেলে। ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকায় স্ত্রী মমতাজ বেগমের বাড়িতে থাকতেন।
মমতাজ বেগমের চাচাতো ভাই আল মামুন বলেন, আতাউর রহমান ১০ বছর আগে শাসনগাঁও মমতাজ বেগমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সে সময় মমতাজের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তারা বিয়ে করেন। তবে এখন পর্যন্ত তাদের ঘরে কোনো সন্তান আসেনি।
তিনি আরও বলেন, বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই তাদের সংসারে ঝগড়া শুরু হয়। যখনই টাকার প্রয়োজন হতো তখনই মমতাজের সঙ্গে ঝগড়া করতেন আতাউর। গত রাতেও তাদের মধ্যে অনেক ঝগড়া হয়েছে। এরপর সকালে আবার তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্বামীর মারধরে মমতাজের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আতাউরকে আটক করে।
ফতুল্লা মডেল থানার উপপরির্দশক রাশেদুল ইসলাম জানান, যৌতুকের জন্য সৃষ্ট পারিবারিক কলহের জেরে মমতাজ বেগমকে হত্যা করেছে তার স্বামী। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের টাকা চেয়ে আসছিল স্বামী আতাউর। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে কী দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বলা যাবে কী দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে আতাউরকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা করবে।