নারায়াণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : সদ্য সমাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নবনির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, পৌরসভা থাকাকালীন আমরা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ট্যাক্স বা কর আগেই মওকুফ করে দিয়েছে। কথা দিয়েছিলাম এবার পানির বিল মওকুফ করে দিবো। তাছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রতিটি কবরস্থানে ১০ শতাংশ জায়গার চারপাশে দেয়াল করে দিয়েছি। ২৭শে জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকায় মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে আনোয়ার হোসেন মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা চেক প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আইভী বলেন, যতই যড়যন্ত্র হোক আমরা আমাদের উন্নয়ন অব্যহত রাখবো। নারীর ক্ষমতায়নের যে ধারা অব্যাহত রয়েছে আমরা তা অব্যাহত রাখবো। সরকারকে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। সব শ্রেণির মানুষ সরকারের সুবিধা পাচ্ছে। আমরা আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই।
তিনি আরও বলেন, অনেকে অনেক সময় নানা কথা বলেন, সরকার কী করছে? আমি বলবো সরকার অনেক কিছু করছে। মুক্তিযোদ্ধার জন্য কাজ করছে, নারীর ক্ষমতায়, শিশুদের সুরক্ষা, প্রতিবন্ধীদের জন্য নানা সুবিধাসহ নানা কার্যক্রম করছে। সরকারের যত উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে সেগুলো চলবে। তারপরও একটি মহল কিন্তু বসে নাই, তারা যড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, কিভাবে সরকারকে খাটো করা যায়। সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমাদের সবাইকে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমি কর্তৃজ্ঞ। কারণ ২০১১ সালে নির্বাচনের কঠিন মুহুর্তে মুক্তিযোদ্ধারা সর্ব প্রথম আমাকে নিয়ে মাঠে নেমেছিলো। এই কথা কখনো ভুলবো না। মৃতুর আগ পর্যন্ত মনে রাখবো। আপনাদের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা মনের ভিতর লালিত হবে। ২০১৬ সালে নির্বাচনে একই কাজ করেছিলেন। ২০২২ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আমি নির্বাচনের প্রথম প্রচার প্রচারণা শুরু করেছিলাম। আপনারা আগের নির্বাচন থেকে শুরু করে শেষ নির্বাচন পর্যন্ত আপনারা পাশে দাঁড়িয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো আনোয়ার হোসেন সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন বীর মুক্তি প্রতীক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসাক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার নুরুল হুদা, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষায় প্রতি এলাকায় সড়কগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করার জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীন মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন। একটা সময় ছিল স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতে পারতাম না। মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট লুকিয়ে রেখে চাকরি চাইতে হতো। কিন্ত বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা চেক প্রদান অনুষ্ঠানে জেলার ১৬১ জন মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সম্মানান স্বরূপ ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।