নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ সদরে রেলক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রেনের ধাক্কায় আহত মেজবাহ উদ্দিন (৬৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ২৭ই ডিসেম্বর সোমবার সকাল ৭টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু বক্কর জানান, বাসে ট্রেনের ধাক্কায় এ পর্যন্ত চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন : বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া এলাকার মুনসুর আলীর ছেলে আবুল কালাম (৫৫) ও ঘাড়মোড়া গ্রামের মেজবাহ উদ্দিন, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার সন্দেশ বিক্রেতার, ভুট্টরাম দাস (৫১) এবং দুর্ঘটনায় পা হারানো শিশু রিফাত।
মেজবাহ উদ্দিনের ছেলে শাহরিয়ার মাহমুদ শিশির জানান, বন্দর উপজেলার ঘাড়মোড়া গ্রামে তাদের বাড়ি। মেজবাহ উদ্দিন পঞ্চবটির একটি কোল্ডস্টোরে চাকরি করতেন। কাজ শেষে পঞ্চবটি থেকে আনন্দ পরিবহনের বাসটিতে চড়ে বাসায় ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন।
এর আগে ২৬ই ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যা ছয়টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ১ নম্বর রেল গেইট (ফলপট্রি) এলাকায় যানজটে আটকে থাকা বাসে একটি ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি ২০ থেকে ২৫ গজ দূরে ছিটকে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুই জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ১০ জন। তাদের মধ্যে বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ১০ বছরের রিফাত রাতে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বলেন, ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় রেলস্টেশনে ঢুকছিল ট্রেনটি। ওই সময় এক নম্বর গেট এলাকায় ক্রসিংয়ের সময় কালীরবাজার থেকে আসা আনন্দ পরিবহনের একটি বাস সামনে পড়ে যায়। তখন ট্রেনটি বাসকে সজোরে ধাক্কা দেয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুই জন পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা বেগমকে আহ্বায়ক করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।