নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অজানা অভিমানে হোসনে আরা (৩৩) নামের এক সন্তানের জননী সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ৩১ জুলাই রবিবার ভোর ৪টায় নাসিক ২২নং ওয়ার্ডস্থ আমিন আবাসিক এলাকাস্থ আফজাল মিয়া ভাড়া বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে প্রেরন করেন। তবে নিহত নারীর সাথে কারো একাধিকবার কথোপকথন হতো বলে পারিবারিক সুত্রে জানা যায়। পুলিশ সেই সুত্র ধরে ওই নারীর ফোন কল থেকে সদর থানাধীণ গোগনগর এলাকার আরিয়ান নামে এক যুবককের সাথে সম্পর্কের জের ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানা যায়।
আত্মহননকারী হোসনে আরা চাদঁপুর জেলার মতলব থানাধীণ কাশিপুর গ্রামের শফিকুল ওরফে ইউসুফ মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে সে ১ সন্তান নিয়ে বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার আফজাল মিয়ার ১ তলা ভাড়া বাড়িতে তার পিত্রালয়ে বসবাস করত । গত ৩ বছর পূর্বে তার স্বামীর সাথে ডির্ভোস হয়েছে বলে বলে জানা গেছে।
জানা যায় , বিগত ৫ বছর পূর্বে বন্দর কদম রসুল কলেজ সংলগ্ন মাঠপাড়া এলাকায় শফিকুল ওরফে ইউসুফ মিয়ার মেয়ে হোসনে আরার সাথে একই এলাকার আমির হোসেনের ছেলে ইমরানের বিয়ে হয় এবং ১টি সন্তানেরও জন্ম হয়। পরে পারিবারিক কলহের কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
নিহত হোসনে আরার বাবা শফিকুল মিয়া জানায়, গত জুন মাসে পিতা-মাতার সাথে হোসনে আরা তার সন্তানকে নিয়ে বন্দর আমিন আবাসিক এলাকায় আফজাল মিয়ার বিল্ডিংয়ের ১ তলা ভাড়া নেয়। এরপর থেকেই আরিয়ান নামে এক ছেলের সাথে প্রায় সময়ই মোবাইলে কথা বলতো বলে তিনি জানান।
এদিকে, রবিবার ভোর ৪টায় সকলের অগোচরে হোসনে আরা তার নিজ ঘরে ৪ বছরের ছেলেকে ঘুমে রেখে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্নহত্যা করে। এ সময় সন্তানের কান্না শুনে পরিবারের লোকজন ঘরের দরজার ছিটকিনি ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় হোসনে আরার মরদেহ দেখতে পায়। এসময় আশেপাশের প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে পুলিশকে খবর দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে বন্দর ফাড়ীর পুলিশ পরিদর্শক নাহিদ মাসুম জানান, খবর পেয়ে রবিবার বিকালে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এক যুবককে সন্দেহ মূলকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে। তদন্ত করে বিস্তারিত জানা যাবে।