নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডে পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এবার সাধারন জনগনের ব্যালট ভিন্ন দিকে পড়তে পারে বলে আশংকা করা যাচ্ছে। দিন যতই যাচ্ছে সাধারন ভোটারদের প্রতি ততই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে দুই বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়া। সেক্ষেত্রে যুবলীগ নেতা খান মাসুদ প্রচারণায় অনেকটাই এগিয়ে আছে বলে জানিয়েছে যুবলীগ নেতা মাসুম আহমেদ ও তার সহযোদ্ধারা।
তারা জানিয়েছেন, নাসিক ২২নং ওয়ার্ডের দুই বারের কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়ার আসলে মুখে মধু অন্তরে বিষ। সেবা প্রত্যাশীরা তার কাছে গেলে নানা ভোগান্তি তো আছেই ফোনটা পর্যন্ত ধরেনা। মুখে মুখে সব করে দিবে কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বিভিন্ন সময়ে নানা বিতর্কিত কর্মকান্ড করে তাকে বার বার সমালোচনার মুখে পড়তে দেখা গেছে। স্থানীয়ভাবে বিচার শালিস করতে গিয়েও তিনি বিতর্কিত হয়েছেন এমনকি তার নামে জিডিও হয়েছে বন্দর থানায়। করোনা সংক্রমনকালে সরকারীভাবে সহযোগিতা আসলেও সঠিকভাবে তিনি বন্টন করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। করোনায় ঘরবন্দি মানুষের সহায়তার খাদ্য সামগ্রীও বিতরন কার্ড নিয়েও স্বজন প্রীতি করেছেন তিনি। এবার পরিবর্তনের দিকেই ঝুকছে মানুষ। দলীয় সমর্থন থাকলে যুবলীগ নেতা খান মাসুদকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না। জয় তার সুনিশ্চিৎ। কেননা দলীয়ভাবে এমন ত্যাগী নেতা ও সামাজিক ভাবে এমন মানবিক সংগঠক খান মাসুদ জনপ্রতিনিধি হলে নাগরিক সুবিধা বেগবান হবে এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।
আমিন আবাসিক এলাকাবাসী জানান, আর ভুল নয়, এবার ২২নং ওয়ার্ডে পরিবর্তন আনতে হবে। সাধারন ভোটারাও এবার বুঝে গেছে সুলতানের কারসাজি। আমরা এবার ২২নং ওয়ার্ডে খান মাসুদকেই কাউন্সিলর হিসেবে পেতে চাই। অনেক তো দেখলাম। কথায় কখনো চিড়া ভিজেনা। কাউন্সিলর সুলতান এবার যতই ভুল পাল্টানোর চেষ্টা করুক কোন কাজে আসবেনা। জনগন এখন খান মাসুদের দিকেই ছুটছে। কেননা যুবলীগ নেতা খান মাসুদ রাজনৈতিক ভাবে যেমন পরিক্ষিত নেতা তেমনি সামাজিক কর্মকান্ডেও একজন মানবিক ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন শ্রেনী পেশার কাছে এখন তার প্রশংসা শুনতে পাওয়া যায়। অসহায় শ্রমিকদের তিনি নিজে বাড়িতে গিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। দুস্থ্য অসহায় মানুষদের খাদ্য সহায়তা বাড়িতে পৌছে দেন। যুবকদের খেলাধুলায় উৎসাহ প্রদানের জন্য ক্রিড়া সামগ্রী বিতরণ, সবুজায়ন নগরী গড়ে তুলতে বৃক্ষ রোপনসহ নানা কল্যানমূলক কাজ করে থাকেন। ট্রাফিকের ভূমিকায় তিনি রাস্তায় যানজট রিশন করতে দেখা গেছে। আমরা এমন একজন ব্যাক্তি খান মাসুদকেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে পেতে চাই।