নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আত্মহত্যার প্রবনতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২১ই জুন সোমবার বন্দরে পৃথক ৩টি স্থানে এক গৃহবধূসহ ৩ জন আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে।
আত্মহত্যাকারিরা হলো : বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের জিধরা এলাকার মনির হোসেন মিয়ার মেয়ে ১ সন্তানের জননী গৃহবধূ মুন্নি বেগম (২৫) একই উপজেলার বালুচর মীরকুন্ডী এলাকার জয়নাল আবেদীন মিয়ার মাদকাসক্ত ছেলে ইব্রাহিম হোসেন ওরফে পায়েল (৩০) ও মদনপুর ইউনিয়নের লাউসার এলাকার দিলিপ বাবু স্ত্রী সুইপার নিপা রানী (৩৫)।
আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা ও ধামগড় ফাঁড়ী পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ২টি লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের র্মগে প্রেরণ করেছে। বাকি একটি লাশের পরিবারের কোন আপত্তি না থাকায় বিনা ময়না তদন্তের লাশ দাফনের অনুমতি চেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজের নিকট আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ বিনা ময়না তদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি প্রদান করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় পৃথক ৩টি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বন্দর থানা অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা গণমাধ্যকে জানিয়েছে, আত্মহত্যাকারি যুবক ইব্রাহিম হোসেন পায়েল মাদকাসক্ত ছিল। মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে বাব ও মায়ের সাথে অভিমান করে নিজ ঘরের আড়ার সাথে কারেন্টের তার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ছাড়াও কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যান্দী এলাকার আনোয়ার হোসেনর ভাড়াটিয়া বাড়ীতে ১ সন্তানের জননী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তবে আত্মহত্যার কারন জানা যায়নি। আমরা আত্মহত্যার কারন জানার জন্য লাশ উদ্ধার করে মযনা তদন্তের জন্য র্মগে প্রেরন করেছি।
তিনি আরো জানান, মদনপুর ইউনিয়নের লাউসার এলাকার মিলন মিয়ার ভাড়াটিয়া ঘরে নিপা রানী নামে এক ঋণগ্রস্ত সুইপার ঋনের টাকা নিয়ে স্বামীর সাথে অভিমান করে আরো এঙ্গেলের সাথে মোটা ফিতা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সংবাদ পেয়ে ধামগড় পাঁড়ি উপ-পরিদর্শক আমানসহ সঙ্গীয় র্ফোস দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। আমরা আত্মহত্যার কারন জানার চেষ্টা চালাচ্ছি।