নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : আগামী ১৯ আগস্ট থেকে পুরোদমে চলবে গণপরিবহন। যদিও আগে থেকেই ট্রেন ও লঞ্চ শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করেছে। ১৯ই আগস্ট থেকে বাসও শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। আগামী ১৯ই আগস্ট থেকে বিনোদনকেন্দ্র ও গণপরিবহন পুরোপুরি খুলে দিয়ে ১২ই আগস্ট বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আসন সংখ্যার অর্ধেক ব্যবহার করে পর্যটন, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোও খুলতে পারবে।
গত ৩ই আগস্ট অনুষ্ঠিত কোভিড–১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতায় নতুন করে চারটি শর্ত দিয়ে ১৯ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেথ করা হয়েছে। এই চারটি শর্তের মাধ্যমে মূলত চলাচল ও কার্যক্রমে আরও শিথিলতা আসল।
শর্তগুলো হলো
১. যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সড়ক, রেল ও নৌপথে সকল প্রকার গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে।
২. পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র আসন সংখ্যার শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে।
৩. সকলক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
৪. যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিধিনিষেধ শেষে ১১ই আগস্ট বুধবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোটামুটি সবকিছু খুলে দিয়েছে সরকার। বুধবার থেকেই ৩৮ জোড়া আন্ত:নগর ও ১৯ জোড়া মেইল–কমিউটার ট্রেন দিয়ে সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। এদিন থেকে বাড়তি ভাড়া প্রত্যাহার করে শতভাগ আসনে যাত্রী নিয়ে চলছে লঞ্চ।
একই সঙ্গে বুধবার থেকে খুলেছে দোকান–শপিংমল এবং খাবারের দোকান, অর্ধেক আসন খালি রেখে খুলেছে হোটেল–রেস্তোরাঁ। সরকারি–বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রয়েছে।
তবে বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতায় পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধই রাখা হয়। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার–অনুষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে।
করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণরোধে গত ২৩ই জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। তখন ২৩টি শর্ত দেয়া হয়। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ গত ৫ই আগস্ট রাত ১২টায় শেষ হয়। পরে কিছুটা শিথিলতা এনে বিধিনিষেধের মেয়াদ গত ১০ আগস্ট মঙ্গলবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।