নারায়ণগহ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিবেদক) : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার শাহপরান নামে এক যুবকের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৭ জুলাই) রাতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সীমান্তবর্তী দক্ষিণ মাতুয়াইল এলাকায় স্পেশালাইজড মেডিক্যাল কেয়ার (এসএমসি) নামে একটি হাসপিটালে রোগীর স্বজনরা বিক্ষোভ করে। জানা গেছে, নিহত শাহপারন পেটের পিড়া জনিত আক্রান্ত হয়ে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা নেয়ার পথে শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে ওই হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করা হয়।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাক্তারের অবহেলা ও রোগীকে অ্যালকোহলের মাত্রারিক্ত প্রয়োগের ফলে শাহপরানের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে তারা আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
এ প্রসঙ্গে নিহতের ছোট ভাই সাইদুর রহমান বিজয়ের সাথে কথা হলে জানায়, আমার ভাইকে তারা অবহেলা করে মেরে ফেরেছে। আমার ভাইকে আজগর আলীতে নিতে চেয়েছিলাম। তখন নিতে দেয়নি। ঘন্টার ঘন্টা বিল বাড়িয়েছে। আমাদের দিয়ে অ্যালকোহল ঔষধ দেয়া লাগবে বলে দুইটি বোতল আনিয়েছে। যার একটি পুরোটাই আমার ভাইয়ের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু আমি খবর নিয়েছি এবাভে মাত্রারিক্ত ব্যবহারের নিয়ম নাই। তারা আমার ভাইকে ঠিকমত চিকিৎসা করেনি। আমার ভাই হাসপাতালে রেখে চিকিৎসক অন্য কাজে ব্যস্ত থাকতো। আর না হয় রুমে বসে থাকতো। ডাক দিলে অসুস্থ্যের অজুহাত দিতো।
তবে হাসপাতালের চিকিৎসক জিয়া উদ্দিন বুলবুলের দাবি, চিকিৎসায় কোন ভুল ছিল না। হুইসকি বা বোটকা এসব অ্যালকোহল রোগীর প্রয়োজনেই ব্যবহার করা হয়। এগুলি চিকিৎসা ক্ষেত্রেই ব্যবহার হয়। মেডিক্যাল সাইন্সের প্রটোকল অনুযায়ী করেছি। আমার কিছু করার নাই। রোগীর অবস্থা ভালো ছিল না বিধায় অন্য কোথায় নিতে না দিয়ে সুস্থ্য করার চেষ্টা করেছি।
ঘটনাস্থলে আসা ডেমরা থানা উপ-পরিদর্শক তাজুল ইসলাম জানান, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরত হাল করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এই ধরণের কোন চিকিৎসা হতে পারে না। কেউ যদি করে থাকে, আমার জানা নাই।