হাসনাত পরিবার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাবুলের বোনের সমর্থণ পেলেন কালাম

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : এবার প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা প্রয়াত আবুল হাসনাতের ছোট ভাই মনির হোসেনসহ পরিবারের একাংশের সমর্থণ পেলেন সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম। একইসাথে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল হোসেন ওরফে বাবুল ওমর বাবুর বড় বোন ডলি আক্তারও ঘোড়া প্রতীকে কালামের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে সোনারগাঁ ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক নির্বাচনী সভায় এমন ঘটনার পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথি এবং সভাপতির বক্তব্যে মনির হোসেন সকল নেতৃবৃন্দকে ঘোড়া প্রতিকে ভোট দেয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, আমার বড় ভাই দীর্ঘ সময় রাজনীতি করেছেন। এই কালাম তার সাথেই রাজনীতি করেছেন। উনার পাশেই ছিলেন, ছেগে যায়নি। এই (মোগড়াপাড়া) ইউনিয়ন আমাদের। কালাম এই ইউনিয়নের ছেলে। যে ইউনিয়নে সাজেদ আলী মোক্তার সাহেবের জন্ম হয়েছে। ডিনি এই কলেজ-স্কুল নিয়ে কাজ করেছেন। উনার পরে মোবারক সাহেব এমপি হয়ে রাজনীতিতে ছিলেন। মোশারফ ভাইয়ের সাথেও নির্বাচন করেছেন কালাম। কিন্তু কালাম ধৈর্য্য ধরেছে। তার র্ধৈয্য আমাকে অভিভূত করেছে। তিনবারের সময় মোশারফ ভাই পাশ করেছিলেন। তখন তিনি বেলেছেন কালামের দিকে খেয়াল রাইখো।

কালামকে হাসনাত পরিবারের সদস্য আখ্যা দিয়ে তিনি আরো বলেন, কালাম আমাদের পরিবারের সদস্য। এই পরিবারের কোনো বিবেদ নাই। আমরা অনেক ধৈর্য্যশীল। কোনো ভুল বুঝাবুঝির সুযোগ নাই। যদি থাকে দুদিনের মধ্যে সংশোধন করার অনুরোধ করলাম। এসময় আবুল হাসনাতের ভাতিজা সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মোবারক হোসেনের পুত্র এরফান হোসেন দ্বীপ এবং অপর ভাতিজা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রয়াত মোশারফ হোসেনের পুত্র তান্না হোসেনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা একট্টা হয়ে হাত তুলে ঘোড়া প্রতীকে ভোট দিয়ে মাহফুজুর রহমান কালামকে বিজয়ী করতে পূর্ণসমর্থণ জানান।

এদিকে আবুল হাসনাতের ছোটভাই মনির হোসেনের বক্তব্যের পুর্বে হঠাৎ হাজির হন প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল হোসেন ওরফে বাবুল ওমরের বোন ডলি আক্তার। এসময় তিনিও বাবুল হোসেন ওরফে বাবুল ওমর বাবুকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে ঘোড়া প্রতিকে কালামকে বিজয়ী করতে ভোট প্রার্থণা করেন।

তিনি বলেন, আমি কাচপুরের ওমর আলী মিস্ত্রি সাহেবের বড় মেয়ে। আমি মোশারফ, বাবুলের সবার বড় আমি। আমি এখানে আসছি ঘোড়া প্রতীকে ভোট চাওয়ার জন্য। আমি সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই মোশারফ-বাবুল তারা কাঁচপুরে সিনহা গ্রুপের মত বড় মিল বন্ধ করে হাজার হাজার শ্রমিকের পেটে লাথি মেরেছে। তারা ওমর মিস্ত্রির নাম নেয়। তারা ওমর আলী মিস্ত্রীর সম্মান নষ্ট করছে। ওমর আলী মিস্ত্রী ছিলো ভালো মানুষ। আমি কখনো কারো জন্য আসিনি। আজ আসছি ঘোড়া মার্কায় ভোট চাইতে। সে ভালো মানুষ। আর বাবুল একজন ভালো ডাক্তার বিরু সাহেবের বিরুদ্ধে খারাপ কথা বলে। আমি এটুকুই বলতে চাই আপনেরা কালামকে ঘোড়া মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।

এছাড়াও বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন পাশা কালামকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, আমি একটা দল করলেও কালামের পাশে থাকতে চাই। সে ভালো ছেলে। আমি আশা করি কালাম ৭০-৭৫ পারসেন্ট ভোট পেয়ে বিজয়ী হবে। এছাড়াও সবাইকে বলছি কালামকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক মিয়া, সহ সভাপতি অধক্ষ্য মুনতাজ উদ্দিন মর্তূজা, আইন বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. হুমায়ূন কবির, ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক নেকবর হোসেন নাহিদ, সদস্য সাহাবুদ্দিন সাবু, মোগড়া পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীড়ের সভাপতি গোলাম মোস্তফা গোলাপ, উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রোবায়েত হোসেন শান্ত, সদস্য সচিব মশিউর রহমান শামীম, হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলার সভাপতি বাবু লোকনাথ দত্ত।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মোবারক হোসেনের ছেলে পুত্র এরফান হোসেন দ্বীপ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রয়াত মোশারফ হোসেনের পুত্র তান্না হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাসেল মাহমুদ সহ আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং স্খানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিগণ।

add-content

আরও খবর

পঠিত