নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : আবারো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলেন করতোয়া এজেন্সীর পরিচালক হাবিবুর রহমান বাতেন সায়মন। জানা যায়, সম্প্রতি হাজীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে তাকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তবে অদৃশ্য শক্তির কারণে দুই পক্ষের সমাঝোতার শর্তে হাবিবুর রহমান বাতেন সায়মন বাসায় চলে যায়। পরে থানা পুলিশের সহযোগীতায় কয়েকবার সমঝোতা বৈঠকে সমাধানের ধারপ্রান্তে থাকলে এখনো কোন সুরাহ পায়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী হাজীদের।
আর এ নিয়েই এবার ঘটেছে লঙ্কাকান্ড। বুধবার ( ২৫ সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যা ৭টায় ওই হাজীদেরই একজন পাওনা টাকার বিষয়ে জানতে চাওয়ায় করতোয়া এজেন্সীর পরিচালক বাতেন গং কর্তৃক মারধরের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী হাজী মো.মহিউদ্দিন।
তিনি জানায়, আমি পাওনা টাকার বিষয়ে তাকে শুধু এটুকু বলি, তিন লক্ষ টাকা দেয়া হল। আমরা বাকি টাকা কবে পাবো? কিন্তু বাতেন আমার সাথে খারাপ আচারণ করে। এছাড়াও সে বলে তোরা থানায় অভিযোগ দিসদ না! এখন আমার কাছে আসোস কে? তর ওসি বাবার কাছে টাকা দিসি পারলে লগা। এক পর্যায়ে বাকবিতন্ডা থেকে আমার সাথে হাতাহাতিতে জড়িযে পড়ে। গলাচিপা মোড়ে অবস্থিত তার কার্যালয়ের বাহিরেও আমাকে মারধর করে। এ বিষয়টি আমি সদর মডেল থানা ইনসপেক্টর গোলাম মোস্তফাকে জানিয়েছে, সে আমাকে চলে যেতে বলেছে। তাই আমি চলে গিয়েছি।
তবে আগের মতই এসব বিষয়ে জানতে করতোয়া এজেন্সীর পরিচালক হাবিবুর রহমান বাতেন সায়মনের মুঠোফোনে ব্যবহৃত নাম্বারে কল করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেনি। এরপর একাধিকবার চেষ্টা করার পর কলটি রিসিভ করলেও সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর, তিনি ব্যস্ত আছেন বলে এড়িয়ে যেতে থাকেন। একপর্যায়ে তার বক্তব্যটি গুরুত্বপূর্ণ বুঝাতে সক্ষম হয় প্রতিবেদক।
তারপর মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানায়, এ অভিযাগ সম্পূর্ণ ডাহা মিথ্যা। মো.মহিউদ্দিন সে এমনিও আমার মামা শ্বশুর। উনার সাথে আমার হাতহাতির সর্ম্পকও না। আমার অফিসে আরো ৫জন ছিলো। আপনি আসেন সাক্ষাতে কথা বলি। বরং উনি আমাকে হুমকী দিয়েছে। আমি আত্মরক্ষা করেছি।
ভুক্তভোগী হাজীদের পাওনা টাকার বিষয়ে তিনি বলেন, হাজীদের সাথে আমার আর কোন পাওনা দেনা নেই। হাজীদের কাছে টাকা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে টাকা টা নিয়েছে হাজী হায়দার আলী। ওসি শুধু মিউচুয়াল করে দিয়েছে। আমরা উভয় পক্ষ মেনে নিয়েছি। এখন টাকা দেয়ার দায়িত্ব হায়দার ভাইয়ের এ বিষয়ে আমি জানিনা। হাজীরা বহু আগে থেকেই টাকা দেয়া শুরু করেছে। যা হজ্বে যাওয়ার দুই মাস আগে দিয়েছে। অনেকে পুরো টাকাও দেইনি। তারপরেও আমরা হজ্বে পাঠিয়েছে। হাজীরা কত টাকা পায়? তাদের কত দাবী? এবং আপনি কত দিয়েছেন, কার কাছে দিয়েছেন- প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে করতোয়া এজেন্সীর পরিচালক হাবিবুর রহমান বাতেন সায়মন বার বার এড়িয়ে যাওয়ায় এ বিষয়টি তিনি পরিস্কার করেনি।
কিন্তু হাজীদের পাওনা টাকার প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় করতোয়া এজেন্সীর পরিচালক হাবিবুর রহমান বাতেন সায়মনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরকারী বাদী হায়দার আলী জানায়, বাতেন এখনো সব লেনদেন শেষ করেনি। আমার কাছে শুধু তিন লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে। যা এখনো আমানত হিসেবে রেখে দিয়েছি। কারণ এই টাকা থেকে কাকে কত দিব? আরো অনেক টাকা পাওনা রয়েছে। তবে বাতেন সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জমানকে ছয় লক্ষ টাকার একটি চেক হস্তান্তর করেছে। সেটি আমরা অবগত। আগামী নভেম্বর ১০ তারিখ শেষ করা হবে। সম্পূর্ণ টাকা পাওয়ার পর।