স্বামী ও ভাসুরের নির্যাতন সইতে না পেরে ২ সন্তানের জননীর আত্মহত্যা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে মাতাল  স্বামী ও পাষান্ড ভাসুরের অমানষিক নির্যাতন সইতে না পেরে ২ সন্তানের জননী রেখা বেগম (২৪) আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। পরিবারের অভিযোগ স্বামী গনি আমিন, ভাসুর নাজির ও কালামের অমানুষিক নির্যাতন সহ করতে না পেরে গৃহবধূ রেখা বেগম ৫ মাসের গর্ভবতীবস্থায় ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। ৩ই মে সোমবার বিকালে বন্দর উপজেলার কামতাল এলাকার মৃত জমির আলীর বসত বাড়িতে এ আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে। গৃহবধূ আত্মহত্যার ঘটনার পর থেকে স্বামী ও ভাসুর পলাতক রয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের কামতাল এলাকার দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে রেখা আক্তার এসএসসি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হওয়ার পরপর একই গ্রামের  প্রতিবেশী মৃত জমির আলীর ছেলে গনি আমিনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে গনী আমিন কাজ কর্ম করতো না নেশা করতো। পিত্রালয় থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ সৃষ্টি করে আসছিলো। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ সৃষ্টি। এর মধ্যে এক ছেলে  আব্দুল্লাহ (৭) ও মেয়ে তানজিলা(৪) দুই সন্তানের পর ফের ৫ মাসের গর্ভবতী হওয়ায় কিছুটা অসুস্থ থাকায় সংসারে খেয়াল কম। গত রবিবার রাতে ঝড় বৃষ্টিতে  গাছের আম পড়ে সেই আম ঘরে না আনার অজুহাতে স্বামী গনি আমিন গত সোমবার বিকালে রেখাকে মারধর করে। ওই সময় ভাসুর নাজির আলী রেখাকে মারধর করে ফকিরের মেয়ে বলে গালামন্দ করে। প্রতিনিয়ত স্বামী- ভাসুরের নির্যাতন সইতে না পেরে অবশেষে নিজ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুজন বলেন, আত্মহত্যা করে মহিলা মারা গেছে বলে খবর পেয়েছি। আমরা লাশ উদ্ধার করে র্মগে প্রেরণ করেছি। গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি  স্বামী-স্ত্রীর কলহ চলছিল। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বুঝা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।

add-content

আরও খবর

পঠিত