নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে এর্লাট থাকার আহবান করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী এ.কে এম. শামীম ওসমান বলেছেন, পাকিস্তানের নাগরিকরা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় আনাগোনা করছেন। গত চার-পাঁচ দিন ধরে বিভিন্ন স্থান থেকে এ ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাদের একাধিক গোপন বৈঠকও হয়েছে। মাদ্রাসার কোমলমতী ছাত্রদের তারা নাশকতার কাজে ব্যবহার করবে। বাংলাদেশে তাদের দোসর হিসেবে কাজ করছে জামায়াত-শিবির, জঙ্গি ও যুদ্ধাপরাধীদের আইএসআই-এর একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। তিনি আশঙ্কা করছেন নির্বাচনের প্রার্থী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীরা টার্গেট হতে পারেন। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় তার নির্বাচনী ক্যাম্প জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও শামীম ওসমান উল্লেখ করেন। এ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য স্বাধীনতার পক্ষে সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ও এর্লাট থাকার আহ্বান জানান তিনি। ২৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের চাষাঢ়া রাইফেল ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, লন্ডন প্রবাসী তারেক রহমানের নেতৃত্বে জামায়াত-শিবির ও আইএসআই নাশকতার কেন্দ্র হিসেবে নারায়ণগঞ্জকে বেছে নিয়েছে এবং তারা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নাশকতা চালাতে পারে। বাংলাদেশের নির্বাচন বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জকেও তারা বেছে নিয়েছে। ২১ আগস্ট হামলার মূল নায়ক, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী তারেক রহমানের নেতৃত্বে পাকিন্তানের আইএসআই-এর নেটওয়ার্ক নির্বাচন বানচালের একটি প্রক্রিয়া ঘটাবে। এবং খুব দ্রুততর সময়ের মধ্যে তারা এ চেষ্টা করবে। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন তারই একটি অংশ বলে মনে করেন শামীম ওসমান।
শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতেই তার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী হিসেবে বিতর্কিত ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে নাশকতার জন্য প্লট তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা তাদের শেষ থাবা হতে পারে এবং আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই সেটা প্রতীয়মান হবে। তিনি নারায়ণগঞ্জে অবস্থারত সব বিদেশি নাগরিক, বিশেষ করে পাকিস্তানি নাগরিকদের নজরদারিতে রাখার জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান।