নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁও প্রতিনিধি ) : হাটের টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ চত্বরে যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
১৬ই ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ–সভাপতি সোহাগ রনির সমর্থক সজল মিয়া ও তার লোকজন ওই হাটের দরপত্র জমা দিতে গেলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নান্নুর পন্থী ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিব, যুবলীগ কর্মী সাগর, হৃদয়, অনিক, পলাশ, পায়েলসহ ২০–২৫ জনের একদল যুবলীগের নেতাকর্মী এসে বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ১৩টি স্থায়ী হাটের জমা দেওয়ার দিন ছিল বুধবার। পরে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ঐতিহ্যবাহী কাইকারটেক হাটটি ইজারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর সমর্থক রোমান বাদশা হাট পরিচালনা করে আসছিল। সংঘর্ষে সোহাগ রনির সমর্থক শেখ মেহেদী হাসান, সজল মিয়া, জাবেদ মিয়া, পারভেজ মিয়া, রানা, মিরাজ হোসেন, আব্দুল আলী ও বাবুসহ ১২ জন আহত হয়। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর পক্ষের ফারুক প্রধান, রবিউল প্রধানসহ ৩ জন আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে সোহাগ রনির সমর্থক শেখ মেহেদী হাসান, জাবেদ, সজলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপজেলা পরিষদ থেকে বের করে দিয়েছে। উপজেলা চত্বর ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ–সভাপতি সেলিম মিয়া জানান, যুবলীগের সমর্থকরা দীর্ঘদিন ধরে হাটটি পরিচালনা করে আসছিল। আমরা এ বছর টেন্ডার জমা দিতে গেলে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে তারা।
মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিব মিয়া জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়েছে। তারা যুবলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে ৩ জনকে কুপিয়ে আহত করেছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।