নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (রুবেল খান): নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের লোকজ উৎসবের মেলা উদ্বোধনি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি (রবিবার) লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের মাসব্যাপী লোকজ উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মন্ত্রী বলেন,সোনারগাঁও বাংলাদেশের পল্লী জীবনের ঐতিহ্যের বাহক। সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যের নিদর্শন আজ জাতিসংঘ সহ সারা পৃথিবীতে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছে যার কারনে এখানে বিভিন্ন দেশের পর্যটক ছুটে আসে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো:ইব্রাহিম হোসেন ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপ জানান, বাংলাদেশের লোকজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে প্রতি বছরের মতো এবারও সোনারগাঁয়ে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এবার গ্রামীন লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম মাধ্যম “কাঠের কারুশিল্পের প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন”শিরোনামে বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
ফাউন্ডেশনের সূত্রে আরো জানা গেছে, এবারের লোকজ মেলায় সর্বমোট বাজেট ৭০ লক্ষ টাকা এবং প্রায় ১৮০টি স্টল স্থান পেয়েছে। এগুলোর মধ্যে হস্তশিল্প ৪৫টি, পোশাক শিল্প ৪৫টি, স্টেশনারী ও কসমেটিক্স ৩৪টি, খাবার স্টল ১৬টি, মিষ্টির ১০টি ও ৩০টি স্টল কারুশিল্পের কারুপণ্য উৎপাদন প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে। এতে আরো জানানো হয়েছে,প্রতিটি স্টলের ফি বাবদ নির্ধারিত হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা।যার মাধ্যমে এর থেকে আয়ের লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছে ২২ লক্ষ টাকা। উৎসবে যেসব কারুশিল্প এবার স্থান পেয়েছে, – সিলেট ও মুন্সিগঞ্জ অঞ্চলের শীতলপাটি, নওগা ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ি ও মুখোস, ঢাকার শাখা শিল্প ও মৃত শিল্প, চট্টগ্রামের তালপাতার হাতপাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, ঠাকুরগাঁওয়ের বাশের কারুশিল্প সোনারগাঁয়ের এক কাঠের চিত্রিত হাতি ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প ও নকশী কাঁথা শিল্প, কুমিল্লার তামা কাসা, রাঙামাটি ও বান্দরবানের ও সিলেটের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্টির কারুপন্য, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটাসহ ইত্যাদি ।
মাসব্যাপী লোকজ উৎসবের বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুসঠান মালায় পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে, লোকজ নাটক, লোক কাহিনীর যাত্রাপালা, বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়লি গান, জারিগান, সারিগান, হাছন রাজার গান, লালন সঙ্গীত, মাইজভন্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গায়ে হলুদের গান, উপজাতীয়দের অনুষ্ঠান, শরিফতি-মারফতিগান, লোকজ কবিতা, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথিপাঠের আসর।
আজ ১৪ই জানুয়ারি থেকে শুরু করে ১২ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত এ মেলা চলবে।