নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে টেন্ডার ড্রপে বাধা দিয়ে হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগের তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে স্থানীয় যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম নান্নু ও লোকজনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ৯ জনকে আহত করার অভিযোগে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সিরাজুল ইসলাম সজল। এতে ২২ জনের নামে উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩০ থেকে ৪০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বাদীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদী সজলসহ আরো কয়েকজন গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং তারিখে টেন্ডার ড্রপের উদ্দেশ্যে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ অভিমুখে যাচ্ছিলেন। এসময় আসামীগণ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কাইকারটেক ও সোনারগাঁ চৌরাস্তা বাজার নামক স্থানে তাদের গতিরোধ করে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আসামীদের হাতে ধারালো চাকু, চাপাতি, লোহার রড, হকিস্টিক, লোহার রড ছিল। বাদী চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ১, ২ ও ৩ নং আসামী অপরাপর আসামীদের তাদের ওপর হামলার নির্দেশ দেন। হুকুম পেয়ে ৪, ৫ ও ৬ নং আসামী বাদী ও বাদীর খালাতো ভাই শেখ মেহেদীকে বেধড়ক পিটিয়ে নীলফুলা জখম করে।
১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ ও ২২ নং আসামী বাদীর সাথে থাকা জনৈক জাবেদ, আলমগীর, মিন্টু, জসিম, শেখ আমান, শাহজালাল ও সেলিমকেও এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। ৮ নং আসামী, ছাত্রদলের সাবেক ক্যাডার হৃদয় তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে ভিকটিম আলমগীরকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে।
৯ ও ১০ নং আসামী কিশোর গ্যাং লিডার অনিক প্রধান ও শিপন ভিকটিম জসিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ দেয়। জসিম তা ডান হাত দিয়ে ফেরাতে গিয়ে হাতে মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হয়। আসামীরা অন্যান্য ভিকটিমদেরও বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক জখম করে। এছাড়াও আসামীরা ভিকটিমদের কাছ থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন। ভিকটিমদের চিৎকারে স্থানীয় জনসাধারণ ও প্রশাসনের লোকজন এগিয়ে এলে আসামীরা ভিকটিমদের নানান ভয়ভীতি দেখিয়ে ও বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, টেন্ডার ড্রপে বাধার ঘটনায় থানায় অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি তদন্তনাধীন। আমরা কমপক্ষে ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।