নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকন ) : করোনা সংক্রমন রোধে বন্ধ রয়েছে সরকারী-বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠান। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ঘর থেকে বের হওয়ারও। এতে করে বিশেষ করে বেহাল অবস্থায় রয়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিকশা চালক, জেলে সহ অসংখ্য দুস্খ্য পরিবার। এমন পরিস্থিতিতে অসহায় গরীবদের সহযোগীতায় র্নিঘুম সময় কাটাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি এবং জাতীয় পার্টির প্র্রেসিডিয়াম মেম্বার লিয়াকত হোসেন খোকা।
ইতমধ্যে সোনারগাঁয়ের বিভিন্নস্থানে কর্মহীণ হয়ে পড়া অসহায় মানুষদের পরবিারের খাদ্য নিশ্চিত করতে নিজ হাতেই নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি। গত কয়েক রাতে এমনি চিত্র দেখা গেছে, পৌরসভার রাইজদা, পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাঢ়িয়ার চর, কাঁচপুর ইউনিয়ন, উপজেলার সাহাপুর ও জেলে পাড়া সহ উপজেলাটির বিভিন্নস্থানে।
সময় উপযোগী এমন কর্মকান্ডে পুরো জেলায় এখন বেশ আলোচিত এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা।এছাড়াও বাজারে মুনাফালোভীদের সিন্ডিকেট বানিজ্যের ভীড় থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা দিতে শুরু করেছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরীর কাজ। শুধু তাই নয় বিন্যামূল্যে তা বিতরণ করা হচ্ছে হাজারো জনসাধারণ মানুষের মাঝে। পাশাপাশি নিজেই প্রতিটি দোকানের সামনে গিয়ে বৃত্ত চিহ্ন দিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে করছেন সচেতনতা। সবাইকে বাড়ির বাইরে না আসার জন্য করছেন হাত জোড় করে অনুরোধ । এতে করে এখন বেশ প্রশংসিত তিনি।
জানা গেছে, এসব কর্মকান্ডে পাশে থেকে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করে শ্রম দিচ্ছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবু নাঈম ইকবাল, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের বাসিন্দা মাসুদুর রহমান মাসুম। এছাড়াও স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার নিয়ে তার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠিত সংগঠন, জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরোমের নেতৃবৃন্দ। উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম সহ উপজেলার অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। করোনা ভাইরাস এর এই প্রার্দুভাব মোকাবিলায় খেটে খাওয়া নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে প্রতিটি প্যাকেটে দেয়া হয়েছে- চাল, ডাল, লবন, আলু, সোয়াবিন তেল এবং সুরক্ষা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে হ্যান্ড স্যানেটাইজার, সাবান, মাস্ক ।
এসব প্রসঙ্গে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করেই আমার এই ছোট উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। কিন্তু সরকারের একার পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব না। তাই আসুন সবাই দৈনিক উপার্জনের ওপর নির্ভরশীল দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়াই। আসুন আমরা সবাই মানবতার এই সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়ি। এখন আর রাজনীতি নয়। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মহাযুদ্ধকে মোকাবিলা করাই এখন মহারাজনীতি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পাশাপাশি দেশবাসীকেও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, করোনা প্রতিরোধে দেশে কার্যত এখন লকডাউন চলছে। করোনা থেকে বাঁচতে সব মানুষই এখন ঘরে বন্দি হয়ে আছে। যাদের আর্থিক সঙ্গতি আছে তারাই সাময়িকভাবে দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারছে এবং পারবে। কিন্তু যারা শ্রমজীবী মানুষ, যাদের দিনের আয়ের ওপর নিজ পরিবারের খাবার যোগাড় করতে হয়, তাদের সামনে এখন খুবই দুঃসময়।তাই দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী দেয়া অব্যাহত থাকবে। প্রতিদিনই কোন না কোন ইউনিয়নে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবো। এছাড়াও করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আমার গঠিত সোনারগাঁ সেন্ট্রাল মনিটরিং টিম এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক কমিটির সদস্যদের সাহায্য নিতে হটলাইনে যোগাযোগ করার অনুরোধ থাকবে- ০১৯৪০৯৪৯৭১২ ,০১৮৩৯৩১৭৮৬৪।