সোনারগাঁয়ের সনমানন্দীতে জিন্নাহ বাহিনী বেপরোয়া: সাবুর কর্মীসহ ছাড় পায়নি পুলিশ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : আসন্ন সোনারগাঁয়ের ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ র্নিবাচনে দিন দিন জাহিদ হাসান জিন্নাহ’র হিংস্রতা ভয়ানক রুপ ধারন করছে। একের পর এক হামলা চালিয়ে প্রতিদন্ধি চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাবুদ্দিন সাবুর কর্মীদেরকে র্নিমভাবে আহতসহ বাড়িঘর ভাংচুরে ব্যাপক সমালোচনার শির্ষে আছে জিন্নাহ বাহিনী। এবার এই বাহিনীর হামলা থেকে রক্ষা পেল না আইন শৃঙ্খলা নিরাপত্তা বাহিনী পুলিশ। সোনারগাঁয়ের সনমান্দী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সন্ত্রাসী জাহিদ হাসান জিন্নাহ’র পক্ষে গণজোয়ারে এবার ভাটা লাগতে শুরু করেছে। সকলের ধারনা পাল্টে গুঞ্জনও শুনা যাচ্ছে চেয়ারম্যান হওয়ার আগেই যারা এই ধরনরে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারে তারা আমাদের ইউনিয়নের কিভাবে উন্নয়ন করবে।

স্থানিয়রা জানায়, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীদের উপর একের পর এক হামলা, বাড়ি ঘর ভাংচুর, বিনা অপরাধে আবাহনী ক্রীড়াচক্রের ক্রিকেটারদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, পতিতা নারীদের দিয়ে গণসংযোগ, মদ্যপ অবস্থায় কর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের পর এবার পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামী ছিনতাইসহ পুলিশের গাড়ি ভাংচুরের কারণে চেয়ারম্যান প্রার্থী জিন্নাহ’র ভাগ্যের গনেশ বদলে গণজোয়ারের স্থলে গণভাটা শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার ২৪ মে বিকেলে উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের ঈমানের কান্দী এলাকায় আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সন্ত্রাসী জাহিদ হাসান জিন্নাহ’র কর্মী মোখলেছ, মাসুম, জয়নাল, সেলিম চৌধুরী, নূর নবী, বাবুল, মিজান, সুজন, দেলোয়ার, মতিন, হালিম, মজনু, মোহন, জাকিরসহ অজ্ঞাত ৮/১০জন বিএনপি-জামায়াত জোটের স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আঁতাত করে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঢাকার আবাহনী ক্রীড়াচক্রের খেলোয়ার পাপ্পুসহ কয়েকজনকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী শাহাবুদ্দিন সাবুর সমর্থক ভেবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।

এ সময় উপস্থিত লোকজন বাঁধা দেয়ায় সন্ত্রাসীরা আজিজুল ইসলাম মুকুল, বাবুল ও বাচ্চু নামে হাজী শাহাবুদ্দিন সাবুর তিন সমর্থকের বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের লাঠির আঘাতে বৃদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা সলিমুল্লাহ, নূরজাহান, রবিন, সোহান ও নাসরিন আহত হয়।

এ ঘটনায় রাতে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিন্নাহ’র এক সন্ত্রাসী কর্মীকে আটক করে গাড়িতে উঠালে তার সহযোগী ৪০/৫০জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুলিশের এসআই এলাহী, পুলিশ সদস্য আকরাম, আলী হোসনে,  হায়াত আকবর ও হায়াত মৃধাকে পিটিয়ে আহত করে জিন্নাহর  উক্ত সন্ত্রাসী কর্মীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং পুলিশের গাড়ি ভাংচুর কর।  খবর পেয়ে থানার ওসি শাহ মো. মঞ্জুর কাদেরের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে।

এ সময় পুলিশ ও সন্ত্রাসী জিন্নাহ বাহিনীর সঙ্গে ফের  সংর্ঘষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এ সময় পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে এ ঘটনায় জড়িত স্থানীয় মেম্বার প্রার্থী মতিন, আনিছুর, মজিবর, রানা, মহিউদ্দিন, জালাল, মমিনুল হক, আলেকসহ ১৩ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী কাজের মূল আদেশদাতা ভদ্রবেশী গডফাদার জাহিদ হাসান জিন্নাহকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী মিছিল করছিল বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত