নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ২০ জুন সোমবার বিকালে নাসিক ২৭নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত হরিপুর ও বঙ্গশাসন এলাকায় সোনারগাঁয়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও বহু মামলার আসামী ডন বজলু ও তার অপরাধমূলক কাজে সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কর্মরত মজিবুর, কালাম, ডালিম সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছে এলাকাবাসী ও অত্র ওয়ার্ডের বঙ্গসাশন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত ১১৭ সদস্যবিশিষ্ট আ:লীগ অঙ্গসংগঠন সমর্থক গোষ্ঠির নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি হরিপুর বাজার থেকে শুরু হয়ে বঙ্গশাসন এলাকা হয়ে ঘুরে আবার হরিপুর বাজারে এসে শেষ হয়। মিছিলে আ:লীগ অঙ্গসংগঠন সমর্থক গোষ্ঠির সভাপতি ও বন্দর থানা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি ইসলাম পলু, অত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও বন্দর থানা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি আহাম্মদ আলী, বন্দর থানা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বন্দর থানা শ্রমিক লীগের সদস্য ও ২৭নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এছহাক মিয়া, আ:লীগ অঙ্গ সংগঠন সমর্থক গোষ্ঠির সহ-সভাপতি আইয়ুব নবী, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন, যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম, ক্যাশিয়ার গাজী মাহমুদ, সদস্য আতাউর রহমান, জাকির, জুয়েল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সহ অত্র অঞ্চলের সর্বস্তরের এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য সুদীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ সোনারগাঁয়ের বাসিন্দা হলেও ডন বজলু ও তার সহযোগীরা বন্দরের বিভিন্ন শিল্প কারখানায় চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল। ডন বজলু বর্তমানে কারাগারে থাকায় মাঝখানে কিছু দিন অত্র অঞ্চলে অপরাধমূলক কাজ বন্ধ থাকলেও তার সহযোগীরা জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও বন্দরের বিভিন্ন শিল্প কারখানায় আধিপত্য বিস্তার ও সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি ইদানিং তাদের অপরাধমূলক কাজে বাধা দেয়ায় ২৭নং ওয়ার্ডের অনেককে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সূত্র মতে, ডন বজলু বিগত ২ বছর আগে তার কাজে বাধা দেয়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে দুপুর পৌনে ২ টা সময় বন্দর থানা যুবলীগ নেতা লিটনকে পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। তাছাড়া বঙ্গশাসন এলাকার আঃ রব মুন্সীকে মারাত্মকভাবে পিটিয়ে তার হাত-পাঁ ভেঙ্গে দেয়। অতি সম্প্রতি হরিপুর সংলগ্ন বাইতুল সালাম মোহাম্মাদীয়া মাদ্রাসাকে অগ্নিকান্ডে পুড়িয়ে দেওয়ার মত নৃশংস ও ঘৃণিত অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে ডন বজলু ও তার সহযোগীরা। সোনারগাঁও থানা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার সুবাদে ডন বজলু অত্র অঞ্চলে জামায়াত শিবিরের রাজনীতির উস্কানীদাতা ও আর্থিক যোগানদাতা হিসেবেও পরোক্ষভাবে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বজলুর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় হত্যাকান্ড, চাঁদাবাজি, শিল্প কারখানায় হামলা, হত্যাচেষ্টা, জায়গা দখলের মত নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। তার এ সকল কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানিয়ে সর্বস্তরের জনগণ এ ঝাড়ু মিছিল করে এবং মিছিলকারীরা তাকে অত্র অঞ্চলে চিরদিনের মত অবাঞ্চিত ঘোষণা করে।